দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৫১ আপডেট: : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩৭
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে 'মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।

আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ‘টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়’ - শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরো বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কম ছিল, তাই আমরা এ খাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তুলতে যা করণীয়, তা করতেই হবে।

জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনেও করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন এক স্থানে রয়েছি, যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার কোন উপায় নেই।

৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআই’র গবেষণার ফলে  ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর! তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুত ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।

প্লাস্টিকদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।

বিএফআরআই’র মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে এতে  বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর  রউফ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই’র ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান।

এ সময় বিএফআরআই’র বিজ্ঞানীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্যজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ইন্দোনেশিয়ার মাদ্রাসা ধসে ৯১ জনের আটকা পড়ে আছে: কর্মকর্তা
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান মিয়ানমারের ভেতরেই : ইউএনএইচসিআর প্রধান
মরক্কোতে তরুণদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ
যশোরে পূজা হচ্ছে উৎসবমুখর : সনাতনী নেতৃবৃন্দ
আর্জেন্টিনায় তিন নারী হত্যায় সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী পেরুতে আটক
তারেক রহমানের পক্ষে মোংলায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
সকল সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি
পটুয়াখালীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার
মিয়ানমারের ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত 
মহানবমী আজ, বাজছে দেবীর বিদায়ঘণ্টা
১০