ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত করার লক্ষ্যে ধর্মীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ঐকমত্য পোষণ করেছে।
আজ শুক্রবার ধর্ম উপদেষ্টাকে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার পর আলোচনায় তারা এই ঐকমত্য পোষণ করেন।
আজ সকালে ইসলামাবাদে মন্ত্রণালয়ের ফেডারেল মন্ত্রী সরদার মুহাম্মদ ইউসুফ তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
আজ ঢাকায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেন পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত করার লক্ষ্যে ধর্মীয় প্রতিনিধিদল প্রেরণের বিষয়ে দু’জন ঐকমত্য পোষণ করেন।
বাংলাদেশকে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির মডেল হিসেবে অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে ৯১ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান। এদেশে সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর লোকজনও বসবাস করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে পরিবেশ পুরোপুরি বজায় রয়েছে। সেখানে যেকোনো নাগরিক স্বচ্ছন্দে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে তার ধর্ম পালন ও ধর্মচর্চা করতে পারে।’
হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী জানান, সেদেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করে। বাকি ৩৩ শতাংশ বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করে থাকে।
এ সময় পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সৈয়দ আতা উর রেহমান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস কাউন্সিলর মুহাম্মদ তৈয়ব আলী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে বর্তমানে সেদেশের ইসলামাবাদে অবস্থান করছেন ধর্ম উপদেষ্টা। এ সফরে উপদেষ্টা পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলনের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে ধর্ম উপদেষ্টার।