ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাসসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। পৃথক দুই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জাজ আদালত।
এর মধ্যে ফখরুলসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে এক মামলায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ও ফখরুলসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হলে মামলার দায় থেকে তারা অব্যাহতি পাবেন।
এই দুই মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সেহেল,ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন,খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আজ বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল।পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
ফখরুলসহ ৭০ জনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আগের দিন ১১ ডিসেম্বর শাহবাগ থানার হাইকোর্ট মাজার গেইট সংলগ্ন এলাকায় আসামিরা একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধান করে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ৪৩৫/৪২৭/১০৯/৩৪ ধারা তৎসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সেহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব,সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ ৭০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
অপর দিকে ফখরুলসহ ৭৭ জনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আগের দিন ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন বার কাউন্সিলের নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের সামনে দুষ্কৃতিকারীরা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধন করে। আসামিরা জামিন শুনানীর রায়কে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে এবং বিচার বিভাগকে চাপ প্রয়োগের নিমিত্তে মোটরসাইকেল অগ্নি সংযোগ করায় পেনাল কোডের ৪৩৫/৪২৭/১০৯/৩৪ ধারা তৎসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন শাহবাগ থানার এসআই শামছুর রহমান। মামলাটি তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান,মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,যুগ্ম মহাসচিব হাবি উন-নবী খান সেহেল,খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানি, বিএনপি নেতা সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ ৭৭ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।