শেরপুর, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৮৪তম গণশুনানি শেরপুর জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় জামালপুরের আয়োজনে এবং শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুদক কমিশনার বলেন, ‘সেবা গ্রহিতাদের সেবা প্রদান আমাদের শুধু নৈতিক নয়, বরং অপরিহার্য কর্তব্য। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও আইন ভংগ করি।’
সেবা দাতাদের সেবা প্রদানে তিনি সরকারি কর্মচারীদের বিবেকের আদালতকে জাগ্রত করার আহবান জানান। তিনি আরো জানান, ‘যেকোনো স্থানের অন্যায় সর্বত্র ন্যায়বিচারের জন্য হুমকি’।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের সভাপতিত্বে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আকতার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ভূঁঞা এবং দুদকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, ‘জনগণের জন্য সরকারি পরিষেবা স্বচ্ছতার সাথে দক্ষতার সাথে প্রদান করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা আমাদের উদ্দ্যেশ্যে।’
দুদক বিভাগীয় পরিচালক তার বক্তব্যে বলেন, এই গণশুনানির কার্যক্রম শুরু হবার পর সকল দপ্তরের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর-সংস্থাসমূহের কর্মচারীদের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সেবার মান বৃদ্ধি, সেবাগ্রহিতাদের হয়রানি রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুদক সারাদেশে গণশুনানির আয়োজন করে।
আজকের গণশুনানিতে ২৮টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১২৫টি অভিযোগের মধ্যে দুদকের তফসিলভুক্ত ১১৭টি অভিযোগের শুনানি হয়। এর মধ্যে ৪টি অভিযোগের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান এবং ৯৩টি তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া হয়। বাকী অভিযোগগুলোর বিষয়ে প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।