চট্টগ্রাম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের উন্নয়নে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিকল্প নেই। আর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করাসহ হুন্ডি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মিডিয়া পালন করতে পারে ব্যাপক ভূমিকা।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টেুরেন্টে আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও রেমিট্যান্স অ্যাপ ‘এনএএলএ’ আয়োজিত ‘রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘এনএএলএ’ বাংলাদেশ-এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান, এনটিভি’র সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমেদ শাহ।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রবাসী আয়ের বড় একটি অংশ এখনো হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। হুন্ডি ও দুর্নীতি রোধে সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে হবে। আমরা দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে অন্যায়, দুর্নীতি ও অসত্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, অনেকেই জীবন দিয়েছেন। এই অবস্থায় এসে যদি এখনো হুন্ডি ব্যবসায়ীরা আমাদের প্রবাসী আয়ের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করে, তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
মেয়র বলেন, বিদেশে অবস্থানরত অনেক প্রবাসী শ্রমিক দ্রুত অর্থ প্রেরণের সুবিধার জন্য হুন্ডির পথ বেছে নেন। অথচ বৈধ পথে অর্থ পাঠালে সরকার থেকে অতিরিক্ত ইনসেন্টিভ মেলে, যা হুন্ডির চেয়ে লাভজনক। কিন্তু এ বিষয়টি যথাযথভাবে প্রবাসীদের বোঝানো যাচ্ছে না। এজন্য গণমাধ্যমকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান করছি।
স্বাগত বক্তব্যে ‘এনএএলএ’ বাংলাদেশ-এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান বলেন, মিডিয়া হলো জনসচেতনতা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে শুধু প্রবাসীর পরিবারই নয়, গোটা দেশ উপকৃত হয়। ব্যাংকিং চ্যানেল বা অনুমোদিত মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ব্যবহার করলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, দ্রুত অর্থ পৌঁছে যায় এবং খরচও কম হয়। সাংবাদিকরা এই বার্তাগুলো মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারে। বিভিন্ন প্রচারণা, সফলতার গল্প এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানুষকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করলে মূলত দেশেরই লাভ।
‘এনএএলএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে ‘এনএএলএ’ অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে মোট ২১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ লাখেরও বেশি। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।