ঢাকা, ২০ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো দুর্নীতিমুক্ত, জনবান্ধব ও প্রযুক্তিনির্ভর ভূমিসেবা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, নাগরিকের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের সঙ্গে ভূমির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে সাধারণ মানুষ এখন ঘরে বসেই ভূমিসেবা পাচ্ছেন। এ পরিবর্তন শুধু জনগণের সুবিধা বাড়ায়নি, বরং দুর্নীতির সুযোগও কমিয়েছে।
আজ রাজধানীর বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সেমিনার কক্ষে মানোন্নীত অটোমেটেড ভূমিসেবা বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের চারটি জেলার (ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভূমি প্রশাসনে যারা এই সেবার দায়িত্ব পালন করেন, তারা যদি ন্যায়নিষ্ঠভাবে কাজ করেন, তবে ভূমি অফিসে অনিয়ম, ঘুষ, দালালচক্র ও হয়রানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা গড়ে তুলতে প্রশাসনকে হতে হবে সেবক, প্রহরী ও সংস্কারক। ভূমিসেবার প্রতিটি ধাপে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা চালুর মাধ্যমে প্রশাসন একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এতে নাগরিক সেবায় গতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে। সর্বোপরি, অটোমেটেড ভূমিসেবা প্রশাসনের সেবামুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর শাসনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলাদেশের ভূমি প্রশাসন বিশ্বের অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রাণ। জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। তবে এই প্রক্রিয়া তখনই কার্যকর হয়, যখন নির্বাচন হয় অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছভাবে। আর এই সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব পালন করে প্রশাসন।
নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে। সততা, দক্ষতা ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে প্রশাসন যদি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তবে জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত হবে, গণতন্ত্র হবে আরও শক্তিশালী এবং রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হবে আইনের শাসন ও জনআস্থা।