
চট্টগ্রাম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার প্রত্যেকটিতে গুরুত্ব বিবেচনায় স্থানীয় পর্যায় থেকে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে, স্থানীয় পর্যায় থেকেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইমাম-পুরোহিতসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে সকল সহায়তা প্রদান করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘এসডিজি ডাটা রিপোর্টিং সমন্বয়ের নিমিত্ত জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’— শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘এসডিজি স্থানীয়করণ’ বিষয়ক সেমিনারে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন এ বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।
সেমিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এর পক্ষ থেকে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে সমস্যাটি চিহ্নিত করা হয়েছে তা হচ্ছে—‘সম্প্রীতি উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক দ্বন্ধের কারণে সংঘটিত সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা শূণ্যে নামিয়ে আনা’। আবার চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে—‘চট্টগ্রামকে টেকসই ও ঝুঁকিমুক্ত বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে, পাহাড়সহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী জনসংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা এবং শতভাগ খাল ও জলাশয় দখলমুক্ত করে পূণঃখনন করা’।
সেমিনারে বিভাগের ১১টি জেলার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ এসডিজি স্থানীয়করণ বিষয়ে নিজ নিজ জেলার কার্যক্রম তুলে ধরেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিষয়ের শিক্ষকগণ এসডিজি স্থানীয়করণ ও চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে তাদের বিভাগের পক্ষ থেকে গবেষণালব্ধ ডাটা ও সুপারিশসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রদান করবেন বলে জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব আলেয়া আক্তার বলেন, শুধু করণীয় বললে হবে না। বরং এ বিষয়ে পূর্বের ডাটা কি রকম, বর্তমানের অগ্রগতির ধরন ও হার ও ভবিষ্যতের জন্য ফলপ্রসু ব্যবস্থাপনা—সব বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে এবং কর্ম পরিকল্পনায় অন্তর্র্ভূক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ে মূল ফোকাস দিতে হবে এবং স্থানীয় মানুষকে এতে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।
সচিব আরও বলেন, এসডিজি স্থানীয়করণ বিষয়ে সুফল পেতে চাইলে, এর তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন—পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ রানা চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মঈনুল ইসলাম পাটোয়ারী, অতিরিক্ত ডিআইজি ওয়াহিদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফ উদ্দীন, বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ।