
ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মালদ্বীপে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে দেশটির সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ ।
গতকাল (সোমবার) মালদ্বীপের রাজধানী মালে শহরে জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর হাও ঝাং এর সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলামের বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) ঢাকায় পাওয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে চলমান সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়েও কথা বলেন উভয় পক্ষ। অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও আইনি সহায়তার সহজলভ্যতার বিষয়গুলো আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।
জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর মালদ্বীপে চলমান কার্যক্রম ও অগ্রাধিকারভিত্তিক খাত সম্পর্কে বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। তিনি জানান, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণকে মূল অগ্রাধিকার হিসেবে রেখে কীভাবে সম্পদের ব্যবহার আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে জাতিসংঘ কাজ করছে।
অন্যদিকে, হাইকমিশনার নাজমুল ইসলাম অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশি শ্রমিকরা দ্রুত মালদ্বীপের সংস্কৃতি ও ভাষার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন এবং দেশটির অর্থনীতি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের মেডিকেল গ্র্যাজুয়েটদের জন্য বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে জনস্বাস্থ্য, শ্রমিক অধিকার ও মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করতে বাংলাদেশ অঙ্গিকারবদ্ধ।
তিনি জাতিসংঘ, মালদ্বীপ সরকার ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে শ্রম অধিকার, স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যৌথ সেমিনার ও প্রোগ্রাম আয়োজনেরও প্রস্তাব দেন।
জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর প্রস্তাবটি স্বাগত জানান। তিনি বলেন, মালদ্বীপে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় আইওএমকে আরও শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করতে উৎসাহিত করা হবে।
আইওএম বাংলাদেশ ও আইওএম মালদ্বীপের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা সম্ভব বলে সহমত প্রকাশ করেছে উভয়পক্ষ। এটির মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং ত্রিপক্ষীয় কাঠামো আরও মজবুত হবে।
একই সঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের যৌথ উদ্যোগ অঞ্চলটিতে শান্তি, মানবসুরক্ষা, অভিবাসী কল্যাণ এবং টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নেবে।