
ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) দু’দিনব্যাপী ইউএসওএপি অডিট সাপোর্ট কর্মশালা সমাপ্ত করেছে।
কর্মশালার সমাপনীতে সিএএবি চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আগামী আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থা-আইকাও তত্ত্বাবধায়ক অডিটের আগে বাংলাদেশের বাস্তবায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
সিএএবি’র ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস (এফএসআর) ডিভিশনের আয়োজনে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের মোট ৩২ জন অংশ নেন।
ইউএসওএপি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও)- এর ইউনিভার্সাল সেফটি ওভারসাইট অডিট প্রোগ্রাম- সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বৈশ্বিক মান অনুযায়ী বিমান নিরাপত্তা তদারকি সক্ষমতা মূল্যায়ন করে।
কর্মশালার বিভিন্ন অধিবেশনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা তদারকি দায়িত্ব, আইকাও- এর আটটি ‘ক্রিটিক্যাল এলিমেন্ট’, স্টেট এভিয়েশন অ্যাক্টিভিটি কোয়েশ্চেনেয়ার (এসএএকিউ) পূরণ, নথিপত্র ব্যবস্থাপনা, আইকাও অনলাইন ফ্রেমওয়ার্ক (ওএলএফ)-এর মাধ্যমে প্রটোকল কোশ্চেন (পিকিউএস)-এর জন্য প্রমাণাদি জমা এবং সাধারণ অডিটজনিত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সিএএবি চেয়ারম্যান সিদ্দিক ইইউ রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান মাইকেল মিলারসহ আন্তর্জাতিক অতিথিদের স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই কর্মসূচিটি দক্ষিণ এশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিমান চলাচলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রতিফলন ঘটায়। এখানে জ্ঞান বিনিময়, অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি আসন্ন ইউএসওএপি অডিটের প্রস্তুতির সময় আমাদের জাতীয় বাস্তবায়ন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।
তিনি আরও বলেন, ইইউ-দক্ষিণ এশিয়া বিমান চলাচল অংশীদারিত্ব প্রকল্পের (ইইউ-দক্ষিণ এশিয়া অ্যাপ), যা এই অঞ্চল জুড়ে বিমান চলাচলের নিরাপত্তায় অর্থবহ অবদান রেখে চলেছে; এর আওতায় এমন একটি সময়োপযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ সিএএবি আয়োজন করেছে।
কর্মশালার আয়োজন তত্ত্বাবধান করেন মেম্বার (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড রেগুলেশনস) এয়ার কমোডর মো. মোকীত-উল-আলম মিয়া। প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. মনিরুল ইসলাম, পরিচালক (এফএসআর ও আইএ)।
অংশগ্রহণকারীরা অডিট অভিজ্ঞতা, তদারকি-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ ও আন্তর্জাতিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে পেশাদার সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় করে।