নারীর অধিকার সুরক্ষায় নিবন্ধন আইন শক্তিশালীকরণ জরুরি

বাসস
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:০২
মঙ্গলবার প্রজ্ঞা আয়োজিত, ‘নারী অধিকার সুরক্ষায় শক্তিশালী নিবন্ধন আইন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা । ছবি : প্রজ্ঞা

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নারীর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের অগ্রগতি বাড়াতে, আইন সংশোধন করে পরিবারের বদলে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের দায়িত্ব দিতে হবে। একই সাথে যাতে হাসপাতালে হওয়া জন্ম ও মৃত্যু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধনের আওতায় আসে সেই বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।

‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত, ‘নারী অধিকার সুরক্ষায় শক্তিশালী নিবন্ধন আইন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি’।

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুবিধা, এবং ন্যায়বিচারের মতো মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় শক্তিশালী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করলেও বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা এই লক্ষ্য অর্জনে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। 

তারা বলেন, জন্ম নিবন্ধনের অভাবে বয়স প্রমাণ করা কঠিন হয়, ফলে মেয়েরা বাল্যবিবাহের শিকার হয়। বাল্যবিবাহ নারীর উপর শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ায়। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের মধ্যে প্রারম্ভিক মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মাতৃমৃত্যুর হার বেশি। নিবন্ধনহীনতা নারী পাচার ও নারীদের ঝুঁকিপূর্ণ পেশা গ্রহণেও ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার মাত্র ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যু নিবন্ধনের হার ৪৭ শতাংশ, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গড় হারের তুলনায় অনেক কম।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নারীদের অদৃশ্য করে তোলে। প্রতিটি নারীর পরিচয় ও অধিকার নিশ্চিত করতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করা জরুরি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ‘ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নারীর অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় সকল নারীর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।’

জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, হাসপাতালভিত্তিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে প্রত্যেক নারীকে নিবন্ধনের আওতায় আনা সম্ভব। 

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া বেবী। প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়েরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা ও উপস্থাপনা করেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর মাশিয়াত আবেদিন।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও ৬ নেতার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি
গোপালগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ 
আবুধাবিতে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈঠক
রেমিট্যান্স প্রবাহে অব্যাহত প্রবৃদ্ধি
কুমিল্লায় তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ 
ঢাকা থেকে বিশ্ব : কাবাডি বিশ্বকাপ সফল আয়োজনে প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ
চাঁদপুরে ২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তিকে জরিমানা
মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২৫
বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তরণের পথে চলছে: মির্জা ফখরুল 
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ
১০