শিরোনাম
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়।
দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসী শাহরিয়ার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাঙালি জাতির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এ কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।
এদিকে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত অপর এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনেও গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান সরকারি দায়িত্বে বাংলাদেশে অবস্থান করায় হাইকমিশন আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, গতকাল নিউইয়র্কে ‘জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে’ যথাযথ মর্যাদায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
এরপর অনুষ্ঠিত এক অলোচনা সভার প্রারম্ভে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ‘আমরা আমাদের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছি। আর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছে।’