শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জম নাছির উদ্দীন বলেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। কিন্তু তাদেরই বংশধররা এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসের ৩৫তম বার্ষিকীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংস্থ পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মুখ চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোনচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, উপদেষ্টা আলহাজ সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকম-লীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, জোবাইরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোঃ জাবেদ, ড. নেছার উদ্দীন মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ।
এছাড়া ১৫টি থানা ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক উপস্থিত ছিলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ১৯৮৮ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। ঐ দিন শেখ হাসিনাকে হত্যা অপচেষ্টায় তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সিএমপির তৎকালীন কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয় এবং ঐ দিনই সামরিক স্বৈরসরকারের বিদায় ঘণ্টা চট্টগ্রাম থেকে বেজে উঠেছিল।
স্বৈরশাসক এরশাদ রকিবুল হুদাকে সিএমপির কমিশনার নিযুক্ত করেছিলেন।
মির্জা রকিবুল হুদা সামরিক বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। খুনি রকিবুল হুদাকে অপর স্বৈরশাসক মেজর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে পুলিশে আত্ত্বিকরন করা হয়।
তিনি বলেন, মেজর জিয়া এদেশে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বীজ বপন করেছিলেন। তারই সৃষ্টি বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী জামাতকে নিয়ে এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করার নীলনক্শা বাস্তবায়ন করেছিল। আজও জিয়ার উত্তরসূরীরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে মাঠ গরম করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কুমতলব হাসিল করতে চায়। এদের সমূলে ধ্বংস করা না হলে আমরা কেউ নিরাপদ নই।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, যদি কোনো দলে একটি মাত্র সিংহ থাকে তাহলে তার বিজয় সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগের দলে আছে একজন সিংহ। তিনি শেখ হাসিনা। তাই আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিতে পারবে না, বিজয় রুখতে পারবে না এবং আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ইতিহাসের পাঠ কেউ গ্রহণ করেন না, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন তা কোনদিন সফল হবে না। এদেশে মীর জাফররা কখনো টিকতে পারেনি। মীর জাফররা বার বার ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এখন যারা খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তারাও একদিন মুছে যাবে।
সভাশেষে চট্টগ্রাম গণহত্যা শহীদ স্মারক বেদীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। সভার শুরুতে চট্টগ্রাম গণহত্যার শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।