বাসস
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৪

ভোলায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে কঠোর মৎস্য বিভাগ

ভোলা, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। গতবছর ভোলায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন, ইলিশের অভায়শ্রমে জাটকা/ইলিশসহ সকল প্রকার আহরণ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়ন, ৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য শিকার বন্ধ আইন, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম, জাটকা রক্ষা ও অবৈধ জাল অপসারণসহ সকল কার্যক্রম সফলতা লাভ করে। এ ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বাসস’কে জানান, ইলিশসহ অনান্য মাছের প্রজননের ক্ষেত্রে ভোলার উপকূলীয় এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব ধরনের মাছের প্রজননের অবাস্থল এটি। দেশের মোট ইলিশের প্রায় ৩৫ ভাগ ভোলা থেকে উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়া অনান্য মাছের প্রাচুর্যতাতো আছেই। কিন্তু এখানকার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর চরাঞ্চলে খুটা জাল, মশারি জাল, বেহুন্দী জালসহ ছোট ফাসের বিভিন্ন জাল দিয়ে মৎস্য সম্পদের ক্ষতি করা হতো। এসব জালে মাছের ডিম, পোনাসহ সব কিছু আটকা পড়ত।
মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ জানান, মৎস্য বিভাগের উদ্যেগে গত এক বছরে আমরা মেঘনা নদীর বিভিন্ন চর থেকে এসব অবৈধ জাল মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। একইসাথে কারেন্ট জাল ব্যবহার বন্ধ করেছি। বর্তমানে তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চলছে। আশা করছি অচিরেই এসব অবৈধ জাল শতভাগ ব্যবহার বন্ধ করা যাবে। এতে করে মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মৎস্য বিভাগ অবৈধ জাল নিয়ন্ত্রণ করে বৈধ জাল ব্যবহার বৃদ্ধি করতে কাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২২ সালে জেলায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে ৫’শ ৫৭ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯’শ ২১টি অভিযানে ২’শ ৬৮ জনকে জেল প্রদান করা হয়েছে। জরিমানা আদায় হয়েছে ৩৪ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা। অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে ২ কোটি ৪৯ লক্ষ মিটার। অনান্য জাল ২ হাজার ৬’শ ১১টি। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জাটকা উদ্ধার ৩৫ হাজার ৫৭০ কেজি ও অনান্য মাছ ১৮ হাজার কেজি। মোট ৫’শ ৬৪ টি মামলায় নৌকাসহ অনান্য সরঞ্জাম নিলামকৃত আয় হয়েছে ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ৮’শ টাকা। যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানান, জেলায় মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে সকল কার্যক্রমই কঠোরভাবে পালন করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রম জোরদারকরণে আমাদের ইলিশের উৎপাদন ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অবৈধ জালের বিরুদ্ধে দুই মাসের বিশেষ কম্বিং অপারেশন চলমান রয়েছে। একইসাথে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রমও চলছে। এ ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।