বাসস
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৪৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন : চাষিদের মুখে হাসি

॥ মো. শফিকুল ইসলাম ॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): জেলার বিজয়নগর উপজেলার এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দেয়ায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। 
জানা যায়, জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, পত্তন শিবির, বড়পুকুর পাড়, দত্তখলা, গলখলা, লক্ষ্মীমূড়া, মনিপুর গ্রামে ৯০ হেক্টর জমিসহ উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় ১১০ হেক্টর জমিতে সুইটি, মনিকা, ব্যাংকক, ত্রিপল ৭ ও সোহাগীসহ নানা জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেছেন কৃষকরা।
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় বিজয়নগরে দিন-দিন বাড়ছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ। ফলন ভালো হওয়ায় এবার সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। নিদিষ্ট সময়ে বাজার জাত ও সঠিক মূল্য পেলে তারা আশার আলো দেখবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি সপ্তাহ থেকে বাজারে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি শুরু করেছেন কৃষকরা। 
উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তখলা গ্রামের কৃষক হামদু জানান, ১ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলিয়ে তার খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। এই বছর ২০ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া বীজ রোপণ করেছি। ভালো ফলন হলে একেক বিঘা জমির উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা। কুমড়ার বীজ জমিতে রোপনের ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই কুমড়া বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান তিনি। কৃষক আজগর আলী জানান মিষ্টি কমুড়া চাষ খুবই লাভজনক। তাই এবারও আমি চাষ করেছি। পাশপাশি গতকাল শুক্রবার থেকে বিক্রি শুরু করেছি। বাজার দরও ভাল।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাব্বির আহমেদ জানান, উপজেলায় এবার ১১০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। কৃষকদের মাঝে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়েও কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। একেকটি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারবে চাষিরা। তিনি আরও জানান, ফলন ভাল হয়েছে কৃষকরা লাভবান হবে। 
এই ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা বলেন বিজয়নগরে প্রতিবছর মিষ্টি কুমড়া চাষ ভাল হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আরও ভাল ফলন হয়েছে। তবে মিষ্টি কুমড়া বাগানগুলোর প্রতি আমাদের সর্বাক্ষণিক নজরধারি রয়েছে। স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে। আমি নিজেও পরিদর্শন করেছি।