শিরোনাম
॥ একেএম খায়রুল বাশার বুলবুল ॥
বরগুনা, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলার আমতলী উপজেলার কৃষকরা পতিত জমিতে লবন সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষে করছেন।
এখন হলুদের সামরোহে মাঠ। সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা পুষ্টিকর তেল পেতে সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন বলে তারা আলাপকালে বাসসকে জানান।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে ১৫ হেক্টর পতিত জমি। লবনাক্ততার কারনে ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমতলী সদর, চাওড়া, হলদিয়া, গুলিশাখালী ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পতিত জমিতে কৃষকরা লবন সহিষ্ণু জাতের বিনা সরিষা-৯ চাষ করেছেন। এছাড়াও তিন জাতের উচ্চ ফলনশীল বিনা-৪, বারি সরিষা-১৪ ও বারি সরিষা-১৫ বেশী চাষ করেছে কৃষকরা। অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ করে। তিন মাসের মধ্যে সরিষার ফলন আসে। মাঘ মাসের শেষে কৃষকরা সরিষার ফলন কর্তন শুরু করবে। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা পুষ্টিকর তেল পেতে সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন বলে জানান- উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. বাবুল মিয়া।
ঘটখালী গ্রামের কৃষক মো. মহসিন হাওলাদার বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমার এক একর জমি পতিত ছিল। লবনাক্ততার কারনে ওই জমিতে ফসলতো দূরের কথা ঘাসও হতো না। ওই জমিতে এ বছর লবনাক্ত সরিষা চাষ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি নিজের তেলের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে ভালো লাভবান হবো। তিনি বলেন. উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও তাদের দেয়া লবন সহিষ্ণু বীজ আবাদ করেছি।
আরেক কৃষক কুদ্দুস মোল্লা বলেন, গতবছর ৩৩ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর ৭০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। গতবছর ৫ মণ সরিষা পেয়েছি। ওই সরিষা ভেঙে পুরো বছরের খাবার তেল রেখেছি। আর খইল (ভুসি) পানের বরজ ও গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করেছি। সরিষা চাষ অনেক লাভজনক।
কৃষক বাদল হাওলাদার ও আল-আমিন বলেন, পতিত জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা আরো বলেন, আশা করি পরিবারের তেলের চাহিদা পুরণ করে বেশ ভালো লাভবান হতে পারবো।
চালিতাবুনিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন মাতুব্ব্র বলেন, এ বছর উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করেছি। এর আগে সরিষা চাষ করিনি। ভালো ফলন হয়েছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, পতিত জমিতে লবন সহিষ্ণু বিনা সরিষা-৯ চাষ করেছেন কৃষকরা। ফলনও ভালো হয়েছে। গতবছরের তুলনায় এ বছর কৃষকরা সরিষা চাষে বেশী ঝুঁকেছেন।