বাসস
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৯
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:০৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে নোম্যান্সল্যান্ডের ৩৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কুতুপালং ক্যাম্পে

বান্দরবান, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে থাকা ৩৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে প্রথম পর্যায়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। 
রোববার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলার কুতুপালং ক্যাম্প-৫ এর  সিআইসি প্রীতম শাহ'র তত্বাবধানে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হয়। 
সিআইসি প্রীতম শাহ জানান, প্রথম দফায় ৩৬ পরিবার মোট জনসংখ্যা ১৮০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ইউএনএসিআর নিবন্ধিত রয়েছে ২৪ পরিবার ও আইসিআরসি নিবন্ধিত ১২টি পরিবার রয়েছে। কুতুপালং রাবার বাগানসহ ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। 
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত হয়ে আসার পর থেকে তুমব্রু গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়ার  কারণে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছিল। সব দিক বিবেচনা করে তাদেরকে কুতুপালং ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইসিআরসিকে সহায়তা করছি।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নজুমিয়ার ছেলে আবু তাহের (৫০), নুরুল আলমের ছেলে মো. রুবেল (২৫), নুরুল বশরের মেয়ে রোবিনা আক্তার (২২), আবু তাহেরের ছেলে নেজাম উদ্দিন(২২)সহ আরো অনেকেই বলেন, কারো প্ররোচনা ছাড়াই আমরা স্বেচ্ছায় কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে চলে যাচ্ছি।
গত ১৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টা থেকে জিরো লাইনে মিয়ানমারে দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিলে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রাণ রক্ষার্থে তুমব্রুর এপারে আশ্রয় নেয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, প্রথম ধাপে ৩৬ পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমরা সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করেছি।