শিরোনাম
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসাস) : অনাবাদি পতিত জমি ও সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রমের আওতায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আজ সকাল ১০টায় ২৭৫ জন কৃষকের মধ্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ কার্যক্রমের আওতায় কৃষকের মাঝে ৬ প্রকার ফলের চারা, ১২ রকমের সবজি বীজ, বিভিন্ন প্রকার সার, ফোয়ারাযুক্ত পানির টব, নেটসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। ফলের চারা, সবজি বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ দিয়ে উপজেলার ২৭৫ জন কৃষক বসতবাড়ির আনাবাদি ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করবেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ^াস, অনাবাদি পতিত জমি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষ্মী সরকার, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিন্দ্রনাথ রায়, কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুষার মধু, কৃষক জীবন হাজরাসহ অরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় বর্তমান সরকারের আমলে সমগ্র দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি দেশের কোন নিদিষ্ট অঞ্চলের কথা চিন্তা না করে সমগ্র দেশের সকল সেক্টরের উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু বিগত দিনে যারা দেশের সরকার প্রধান ছিলেন তারা শুধু নিজ নিজ অঞ্চলের উন্নয়ন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আর এ উন্নয়নের ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। আমরা তাঁর সেই নির্দেশ মোতাবেক অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
কৃষক জীবন হাজরা বলেন, কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া বিলে আমার ৩বিঘা জমি রয়েছে। প্রায় শতবর্ষ ধরে এ জমি অনাবাদি ছিল। এ বছরই প্রথম আমার এ জমি আবাদ করা হয়েছে। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার, বীজ ও ধান রোপণের জন্য ফ্রি শ্রমিক দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমি অনাবাদি রয়েছে। আমরা এ অনাবাদি জমির প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিঘা আবাদের আওতায় আনতে পেরেছি। আগামী মৌসুমে আমরা এ ইউনিয়নের সমস্ত অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনতে পারবো বলে আশা করছি। ওই কর্মকর্তা অরো বলেন, আমরা ২৭৫ জন কৃষককে ফলের চারা, সবজি বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছি। এগুলো দিয়ে তারা বসতবাড়ির পতিত ও অনাবাদি জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করবে। এ বাগানে উৎপাদিত ফল ও সবজি দিয়ে কৃষক পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।