বাসস
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৩

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলার আখাউড়ায় পতিত জমিতে শখের বশে নার্সারি বাগান করে বেশ সফলতা পেয়েছেন মনির হোসেন। তার বাগানে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফুল-ফল ও বনজ-ভেষজ গাছ। নার্সারিতে প্রতিমাসে যাবতীয় খরচ বাদে তার আয় হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
মনির হোসেনের নার্সারিতে ভালো মানের চারা হওয়ায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।  তার এ সফলতায় ফুল-ফলের বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখানে দেখতে এসে পরামর্শ নিচ্ছেন। এ কারণে ক্রেতার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তার নার্সারিতে রয়েছে- লাল গোলাপ, সাদা গোলাপ, কালো গোলাপ, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, ডায়মন্ড, ডালিয়া, , হাসনাহেনা, গাঁদা, বেলি, কামিনী, গাজরা, রায়বেলী, জিনিয়া, দোপাটি, জিপসি পামটি, মানি প্যান্ট, রক্ত পরোবি, হলুদ এ্যালমন্ডা, বেগুনি এ্যালমন্ডা, এ্যারিকাপাম, সিঙ্গোনিয়াম, বেবি টিয়ারস, , রঙ্গন, শেফালি ফুল, কাঠগোলাপ, দোলনচাঁপা, পর্তুলিকা, রেইন লিলি, ইন্ডোর প্যান্ট ইত্যাদি। ফলের চারার মধ্যে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কামরাঙ্গা, বেল, জামরুল, আপেল, কমলা মাল্টা, লিচু, পেঁপে, আনাড় ইত্যাদি। তাছাড়া বেলজিয়াম, আকাশি, মেহগনি, শিলকড়–ই জামসহ রয়েছে নানা প্রকারের চারা।
মনির হোসেন বলেন, ছোট বেলা থেকেই গাছ ও প্রকৃতির প্রতি ছিল তার ভালোবাসা। ইউটিউব দেখে দেশি-বিদেশি চারা লাগানো ও পরিচর্যা সম্পর্কে ধারণা নিই। এরপর রামধননগর এলাকাসহ পৃথক দুই স্থানে প্রায় ৭০ শতাংশ দুটি জায়গা ভাড়া নিয়ে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফুল-ফল আর বনজ-ভেষজ গাছের বাগান গড়ে তুলেছি।  ঢাকা, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ওইসব নানা প্রজাতির ফল-ফুল, ভেষজ ও বনজ গাছের চারা সংগ্রহ করেছি। আমার এবাগানে পরিবারের লোকজনের সহযোগিতার পাশাপাশি দৈনিক মজুরিতে ৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তিনি আরও জানান, তার এ বাগানে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকার ওপর চারা বিক্রি হচ্ছে। যাবতীয় খরচ বাদে তার আয় হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা বলেন আখাউড়ার মনির হোসেনের নার্সারি বেশ সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি বিভাগ নিয়মিত তার নার্সারিকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।