শিরোনাম
॥ এস এম মজিবুর রহমান ॥
শরীয়তপুর, ৪ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : জেলার জাজিরায় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু হওয়ায় আস্থা ফিরে এসেছে ভোক্তাদের। রাসায়নিক ব্যবহার করে টমেটো পাকানো হয় আতঙ্কে বিগত বেশ কয়েক বছর থেকে শরীয়তপুরের বাজারগুলোতে টমেটো বিক্রি কমে গিয়েছিল। খাদ্য তালিকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ওষুধী গুণ সম্পন্ন অন্যতম জনপ্রিয় এ সবজির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে এ মৌসুমে জাজিরার বিলাসপুরের মুলাই বেপারীর কান্দিতে কুন্ডেচর ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জন কৃষক ৫ বিঘা জমিতে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করেছেন। টমোটো পাকাতেও তারা অবলম্বন করছেন প্রাকৃতিক পদ্ধতি। ফলে কৃষক শুধু বেশি বাজারম্যূল্যই পাচ্ছেন না, খাবার তালিকার পছন্দের এ সবজির প্রতি ফিরিয়ে এনেছেন ভোক্তাদরে আস্থাও। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, ক্যান্সর প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন নিরাপদ টমোটো আবাদে কৃষক শুধু অর্থনৈতিকভাবে লাভবানই হবেন না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন আন্দোলনও হবে বেগবান।
জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, রাসায়নিক দিয়ে টমোটো পাকানোর আতংকে আমি নিজেও বেশ কয়েক বছর যাবত টমেটো খাওয়া একদম কমিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এ মৌসুমের প্রথম দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শের ফলে টমেটোর প্রতি ভোক্তাদের আস্তা ফিরিয়ে আনতে পরীক্ষমূলভাবে ৫ বিঘা জমিতে নিরাপদ পদ্ধতিতে টমোটো চাষ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পাকানো শুরু করি। এতে আমাদের ৫ জনের খরচ হয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বাজারে আমাদের টমেটোর চাহিদা এতোটা হবে তা বুঝতে পারি নাই। আশা করছি ৬ লক্ষ টাকার উপরে বিক্রি হবে। বাজারে আমার টমেটো বিক্রি শেষ না হতে বাইরের টমেটো কেউ বিক্রি করতে পারে না। এ সাফল্যে আমি খুশী। আগামীতে আমি এ পদ্ধতিতে ৩০ বিঘা জমিতে টমেটো আবাদের পরিকল্পনা করছি।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জামাল হোসেন বাসস’কে বলেন, টমোটোতে রাসায়নিকের প্রভাব আতংকে গত কয়েক বছর থেকে ক্রেতাদের অনাস্থার কারণে জাজিরায় কমছিল আবাদের পরিমাণ। তবে ক্যান্সার জীবাণু প্রতিরোধক নিরাপদ টমোটো আবাদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পাকানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এখন আস্থা ফিরছে ভোক্তাদের। আমরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন আন্দোলনকে সফল করতে আমরা সকলেই মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। ফলে আগামীতে আবারও জাজিরায় টমেটোর আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে আগের অবস্থাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। এবছর জাজিরা উপজেলায় ৩শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে টমো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৪শ’ হেক্টরে।