বাসস
  ১৯ মার্চ ২০২৩, ২২:১৭

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতার পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি

ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৩ (বাসস): খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতার পাশাপাশি খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা নিয়ে যেসব কর্তৃপক্ষ কাজ করছে তাদের মধ্যে সমন্বয়  জরুরী।
‘কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস এবং খাদ্য নিরাপত্তায় মিডিয়া সংবেদনশীলতা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতার পাশাপাশি খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা নিয়ে যেসব কর্তৃপক্ষ কাজ করছে তাদের মধ্যে সমন্বয়  জোরদার করতে হবে। 
প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার কক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) পরিচালিত অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা বিষয়ক প্রকল্পের সহযোগিতায় পিআইবি এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান খাদ্য। কিন্তু এই খাদ্য অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায় যদি না সেটা নিরাপদ হয়। খাদ্য উৎপাদনের সময় ফসলে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত ও ক্ষতিকারক প্রিজারভেটিভের ব্যবহার, অনিরাপদ ও নোংরা সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি ভেজালের কারণে খাদ্য হয়ে উঠতে পারে অনিরাপদ ও বিষাক্ত। এমনকি যথাযথভাবে রান্না না করলেও উপকারী খাদ্য উপাদান নষ্ট হয়। সবমিলিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা একটি ব্যাপক বিষয় এবং বিশাল এক চেইনের অন্তর্গত।
কর্মশালায় পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে জনগণকে সচেতন করতে গণমাধ্যম কর্মীদের বেশি সচেতনতামূলক বার্তা প্রচারে গুরুত্ব দিতে হবে। খাবার গ্রহণ, সংরক্ষণ, পুষ্টিগুণ বজায় রেখে নিরাপদ থাকার বিষয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা নিয়ে যেসব কর্তৃপক্ষ কাজ করছে তাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা রয়েছে তাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
জাফর ওয়াজেদ বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। দেশের জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুড সিক্যুরিটি অথরিটি (বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ) যা ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে যার মাধ্যমে জনগণ সুস্বাস্থ্য নিয়ে, দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. মঞ্জুর মোরশেদ আহমেদ বলেন, সুস্থ সবল জাতি গড়তে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্য ক্রয়, রান্না, পরিবেশন ও সংরক্ষণের প্রতিটি ধাপে কিভাবে তা নিরাপদ রাখা যায় সকল বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নিরাপদ খাদ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বোরহানুদ্দীন। তিনি বলেন, কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস বা ‘খাদ্য কোড’ আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত খাদ্য মানগুলির একটি নির্দেশনা। এই মানগুলো ভোক্তাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং খাদ্য বাণিজ্যে উপযুক্ত মান নিশ্চিত করে।
পিআইবি’র প্রশিক্ষক পারভীন সুলতানা রাব্বীর সমন্বয়ে কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪০ জন সংবাদকর্মী অংশ নেয়।