বাসস
  ০৯ মে ২০২৩, ২০:২১
আপডেট : ০৯ মে ২০২৩, ২০:২৫

হবিগঞ্জে তোতা মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড ॥ দু’জনের যাবজ্জীবন

হবিগঞ্জ, ৯ মে, ২০২৩ (বাসস) : জেলার সদর উপজেলার দীঘলবাগ গ্রামের কৃষক তোতা মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড ও দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও বেশকয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। একই সাথে এই ঘটনার কাউন্টার মামলায় ৫২জন আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। 
মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক মো: আজিজুল হক এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘলবাগ গ্রামের মৃত আলফু মিয়ার ছেলে বশির আহমেদ ভিংরাজ, তার ভাই সিজিল মিয়া, মৃত ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া, মৃত চেরাগ আলীর ছেলে জিতু মিয়া ও মৃত ফজল হোসেনের ছেলে শাহ আলম। রায়ে তাদেরকে ৫লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
একই গ্রামের মৃত আলফু মিয়ার ছেলে ইউনুছ মিয়া ও মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও ওই গ্রামের মৃত ছেরাগ আলীর ছেলে আব্দুল করিম, মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া, আব্দুস শহিদের ছেলে অমৃত মিয়া, ফিরুজ মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া ও মৃত মনফত উল্লার ছেলে শহীদ মিয়াকে ৩ বছরের কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড এবং এরফান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম শহীদকে ৭ বছরের কারাদন্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করা হয়। রায়ের সময় ৩৩জন আসামীর মধ্যে ৩২জন আদালতে উপস্থিত ছিল। ভিংরাজ মিয়া নামে অপর এক আসামী মৃত্যুবরণ করেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১আগস্ট জুম্মার নামাজের পর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় মৃত আব্দুল গনির ছেলে তোতা মিয়া (৬০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয় । 
ঘটনার পরদিন তোতা মিয়ার  ছেলে আব্দুল কাইয়ূম বাদী হয়ে ৩৩ জনের নামে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। রংবাহার নামে এক নারী ৫২ জনের নামে আরেকটি কাউন্টার মামলা দায়ের করেন। 
হবিগঞ্জ ডিবির সাবেক এসআই ইকবাল বাহার হত্যা মামলায় ৩৩ জনের নামে ২০১৫ সালের ৪ মে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৯জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ বিকেলে হত্যা মামলা ও কাউন্টার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। 
কৃষক তোতা মিয়ার ছেলে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তারা এই রায়ে সন্তুষ্ট। দ্রুত এই রায় বাস্তাবায়নের দাবী জানান তিনি। 
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মুসা মিয়া সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 
আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট নুরুল আমিন। আসামী পক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করবে বলে জানিয়েছে।