বাসস
  ১৩ আগস্ট ২০২৩, ২১:৫৫

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সরকার সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রোববার মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-১৪ (জলজ জীবন) এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তার মন্ত্রণলিয় এসডিজি-১৪ অর্জন তথা টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ করছে। সাগর-মহাসাগরে সুষ্ঠু পরিবেশ ও উৎপাদনশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্রে অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত ও অনুল্লিখিত মৎস্য আহরণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৩৬৭ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। সমুদ্রগামী মৎস্য নৌযান মনিটরিংয়ের জন্য ৮ হাজার ৫০০ নৌযানে ট্র্যাকিং ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুপরিকল্পিত নীতির কারণে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এসডিজি অর্জনের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যেমন দরকার তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নয়নের বিকল্প নেই।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এসডিজি বিষয়ক ফোকাল পয়েন্ট এ টি এম মোস্তফা কামাল। কর্মশালায় এসডিজি বিষয়ে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম। এসডিজি-১৪ এর লক্ষ্য ও অর্জন নিয়ে উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং পরিকল্পনা কমিশন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, আইইউসিএন, বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।