বাসস
  ২৪ আগস্ট ২০২৩, ২২:১২

সৌদি আরব ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০ লাখ বাংলাদেশী পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নিয়েছে

ঢাকা, ২৪ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : সৌদি আরব ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের সংখ্যা প্রতি বছর ৩০ লাখে উন্নীত করার প্রত্যাশা করছে। চলতি বছর ৩ লাখ ৩২ হাজারের বেশি বাংলাদেশী তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন।
ধর্মীয় ও পর্যটনের উদ্দেশ্যে দেশটিতে যাওয়ার পরিকল্পনাকারী আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য গ্রাহক-কেন্দ্রিক অফিসিয়াল ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (nusuk.sa) NUSUK সংক্রান্ত সৌদি আরবের প্রথম রোড শোতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত রোড শোতে উপস্থিত ছিলেন সফররত সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিগ আল-রাবিয়া এবং নুসুক এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট আলহাসান আলদাববাগ।
অনুষ্ঠানে সৌদি মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং তার সরকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে এটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, দুই পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী হিসাবে, সারা বিশ্ব থেকে আগত আল্লাহর মেহমানদের আতিথ্য করা আমাদের জন্য একটি বড় সম্মান এবং সৌভাগ্যের বিষয়। এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব এবং আমরা হজযাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ, সহজগম্য, ঝামেলামুক্ত এবং আরামদায়ক করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আলদাববাগ বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য বিশেষ করে ওমরাহ পালনে গমনকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য এবং সহজগম্যতা বৃদ্ধি করা।
 তিনি বলেন, আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইস্যু করার মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া সুগম করেছি এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সেনজেন পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভাল পরিষেবা সুযোগ দিচ্ছি। তারা অবাধে ওমরাহ পালন করতে এবং দেশের অনন্য সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অন্বেষণ করতে পারে।
 তিনি বলেন, সৌদি আরব ওমরাহ ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করেছে, ওমরাহ পালনে গমনকারীদের বীমা খরচ কমিয়েছে এবং যেকোনো ধরনের ভিসায় জমজম পানি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
নুসুক এপিএসি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ৯৬ ঘণ্টার স্টপওভার ভিসার জন্যও যোগ্য, যার মাধ্যমে মুসলমানরা যাত্রাবিরতি হিসেবে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।
 নুসুকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহদ হামিদাদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে সৌদির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং সৌদির ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্র অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাজার হিসেবে বহাল রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের উদ্বোধনী রোড শো প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে, আন্তঃসরকার এবং বাণিজ্য অংশীদারদের সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের জন্য অপার সম্ভাবনা উন্মোচন করতে আমাদের সাহায্য করেছে।
রোড শোতে ওমরাহ কোম্পানি, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি এবং ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসহ বাংলাদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যোগ দিয়েছে।
নুসুকের সহযোগিতায় সারা বিশ্বের ভ্রমণকারীরা সহজেই ই-ভিসার জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে হোটেল এবং ফ্লাইট বুকিং পর্যন্ত তাদের পুরো সফরে ব্যবস্থা করতে পারেন।