বাসস
  ৩১ আগস্ট ২০২৩, ২২:২৯
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ২২:৩৪

ভারত মনে করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা জি-২০ সম্মেলনে অবদান রাখবে : ভার্মা

ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, নয়াদিল্লি মনে করে যে, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা জি-২০ আলোচনায় মূল্যবান অবদান রাখবে।
আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে ঢাকার অংশগ্রহণ উপলক্ষে আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জি-২০ সামিট: ঢাকা থেকে নয়দিল্লি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাইকমিশনার বলেন, এই বছর ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ সম্মলনে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি ভারত যে গুরুত্ব দেয় শুধু সেটিই প্রতিফলিত করে তা নয়, বরং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকেও তুলে ধরে।
সারা বছর ধরে বিভিন্ন প্লাটফর্মে সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়ে জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করতে এবং ভারতের জি-২০’তে সভাপতিত্বকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ভার্মা ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী ও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
হাইকমিশনার বলেন, ভারতের সভাপতিত্বে এমন এক সময়ে জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে যখন বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর ধকল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং অর্থনৈতিক মন্দা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তাসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
তিনি সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘœ, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকি, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতি এবং ঋণ সংকটকে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
এই কঠিন সময়ে জি-২০ সম্মেলনের এজেন্ডা নির্ধারণ সার্বিক কল্যাণে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভারতের সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হচ্ছে জি-২০ প্রেসিডেন্সি।
ভার্মা বলেন, ভারত গ্লোবাল সাউথের আকাঙ্খা ও দৃষ্টিভঙ্গিসমূহকে জি-২০-এর অগ্রাধিকার ও আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
তিনি এ লক্ষ্যে চলতি বছর জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে একটি মূল্যবান অবদান বলে বর্ণনা করেন।
আজকের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অ্যাম্বেসেডর-অ্যাট-লার্জ ও বাংলাদেশের জি-২০ শেরপা মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের পাশাপাশি কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির তিনটি প্রধান অগ্রাধিকার বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। এগুলো হলো- নারী নেতৃত্বের উন্নয়ন, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট (লাইফ) এবং সবুজ উন্নয়ন।