বাসস
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৫

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণ

ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিলিং মাস হতে প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা (সমন্বয়ের হার ৫.৩৬ শতাংশ) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা হতে ৩০ দশমিক ৭৫ টাকা (সমন্বয়ের হার ২.৫০ শতাংশ) নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারিদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি বা ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫শ ৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। 
কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে। এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজি’র বর্তমান বাজার মূল্য  ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে।