বাসস
  ২৮ জুন ২০২৪, ১৩:২২

গাজার পানি সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে : ইউনিসেফ

জেরুজালেম, ২৮ জুন, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক):জাতিসংঘের শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ বৃহস্পতিবার বলেছে, ইসরায়েল দক্ষিণ গাজার একটি মূল ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সম্মত হয়েছে। এতে এক মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত মানুষকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে পারে।
ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সংস্থার মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেছেন, ‘ইউনিসেফ নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ গাজা ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টের জন্য মাঝারি ভোল্টেজ ফিডার পাওয়ার লাইন পুনঃস্থাপনের জন্য ইসরায়েলের সাথে একটি চুক্তি হয়েছে।’
প্রায় নয় মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি ভূখ-ের ২৪ লক্ষ বাসিন্দার জন্য পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গাজার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি স্যানিটেশন এবং পানির সুবিধা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েল ভূখ-ে শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করার পর থেকে কেবলমাত্র বোতলজাত পানি সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
খান ইউনিসের প্ল্যান্টটি একবার বিদ্যুতের সাথে পুনরায় সরবরাহ করা হলে দক্ষিণ গাজার প্রায় এক মিলিয়ন ক্রিকক্স বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য ‘মানবিক মানদ-ে ন্যূনতম ১৫ লিটার পানীয় জল প্রতিদিন পান করার জন্য উৎপাদন করা উচিত।’
ইউনিসেফের মতে, প্ল্যান্টটি পূর্ণ ক্ষমতায় প্রতিদিন ১৫হাজার ঘনমিটার বা ১৫ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদন করতে সক্ষম।
৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ঘোষণা করেছিলেন,  তিনি ‘বিদ্যুত, পানি, ও গ্যাস বন্ধ’ করে দিয়ে গাজায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ আরোপ করছেন।
এরপর থেকে গাজায় কর্মরত ত্রাণ গোষ্ঠীগুলো জানায়, মানবিক পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে।
ইসরায়েলের সরকারী পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপি’র সমীক্ষা অনুসারে, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের ফলে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। যার ফলে ১,১৯৫ জনের মৃত্যু হয়। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস পরিচালিত অঞ্চলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে অন্তত ৩৭,৭৬৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।