বাসস
  ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪১
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৫২

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসিত করা হবে : শারমীন এস মুরশিদ

ঢাকা, ১৯ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসিত করা হবে। 
তিনি আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ)-এ চিকিৎসাধীন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ আহতদের দেখতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন। 
তিনি বলেন, “হাসপাতালের রেজিস্ট্রার থেকে এ আন্দোলনে আহত- নিহতদের তথ্য নিয়ে সবার ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আহতের পুনর্বাসনের জন্য যা যা করা দরকার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তার নৈতিকতার জায়গা থেকে করবে। আহতদের পুনর্বাসিত করবে মন্ত্রণালয়।”
“বাচ্চাদের সুচিকিৎসা সরকারের প্রধান ম্যান্ডেট” উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, “বাচ্চাদের যদি নিরাপদ জীবন দিতে না পারি, তাহলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হবো।”  
শারমীন এস মুরশিদ ডিএমসিএইচ পরিদর্শনকালে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এসময় তিনি আহতদের সুচিকিৎসার জন্য যা যা দরকার, তা  করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। 
আহতদের প্রতি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের যতœ, ভালোবাসা, সুচিকিৎসা, সেবার মান ও আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন করে ডাক্তারদের সেবা পেলাম। নতুন করে চিকিৎসা সেবা দেখলাম। নতুন বাংলাদেশ এমন ডাক্তার ও সেবাই চায়। 
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানান। আহতদের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি সেল খোলা হবে বলেও তিনি জানান।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ তরুণদের নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। ১৯৭১ সালের  মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেমন ভোলা যায় না, তেমনি ২০২৪ এর নতুন বাংলাদেশের স্মৃতিও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আমরা নিহতদের ভুলতে  দেব না। যে বাচ্চারা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, তাদের নিরাপদ জীবন দিতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে। 
তিনি বলেন, এই বাচ্চারা সুস্থ্য না হলে, পুনর্বাসিত না হলে- আমরা ভালো থাকবো না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যত প্রকল্প রয়েছে, যত প্রোগ্রাম রয়েছে এখন থেকে এই বীর বাচ্চাদের ফোকাস করে নেয়া হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমসিএইচ-এর অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. মো. খালেকুজ্জামান, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম, ডা. আব্দুর রহমান ও ডা. আবদুস সামাদ।