বাসস
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৮

‘শহিদি মার্চে’ সব বয়সী, বর্ণের মানুষের অংশ গ্রহণ

ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে  নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ শহরের 'শহিদি মার্চ'-এ অংশ নিয়েছে সব বয়সী ও বর্ণের হাজার হাজার মানুষ।
দুপুর আড়াইটা থেকেই মিছিলের কেন্দ্রীয় ভেন্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য চত্বরে জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকে। 
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই ও আগস্টে নিহতদের স্মরণে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়।
টিএসসি থেকে মিছিলটি নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাব, কলাবাগান হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও  টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) এর প্রথম বর্ষে পড়ুয়া  মেয়ে ফারহানা তাবাসসুম এবং আট বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ  তকি তোহাকে নিয়ে জয়পুরহাট থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাহিরা নাসরিন (৪৫) বলেন,‘ছাত্র ও জনগণের বিপুল রক্তপাত ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগদান করা থেকে আমি দূরে থাকতে পারলাম না। ’
১৬ বছরের দমন-পীড়নের পর দেশের মানুষ এখন তাদের স্বাধীনতা ও কথা বলার সুযোগ পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করি অন্তর্বর্তী  সরকার শহীদ ও আহতদের  প্রতি দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।’ 
যাত্রাবাড়ীর ডেমরা থেকে আসা শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন খান ইভা বলেন ‘ এতোবড় ত্যাগ ও রক্তপাতের  মাধ্যমে স্বৈরাচার পতনের এক মাস 
পূর্তি উদযাপন আমাদের  কাছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি আরো বলেন, ‘আমি সরাসরি  আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। গণঅভুত্থানের  পর  আমি আমার সহপাঠীদের সাথে ট্রাফিক পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গ্রাফিতি আঁকার কাজ করেছি... যা কিছু করেছি দেশের প্রতি ভালবাসা থেকেই করেছি।’
 বিউইপি প্রথম বর্ষের  ছাত্রী ফারহানা তাবাসসুম বলেন,‘এই গণঅভ্যুত্থান জনগণের মানসিকতা পরিবর্তন করেছে।  তারা এখন স্বাধীন বোধ করছে এবং যখনই তারা কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি দেখে তখনই  আওয়াজ তুলছে। আমি মনে করি এটি নতুন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন।’
যাত্রাবাড়ী এলাকার একজন সহ-সমন্বয়ক মারিয়া খান মিম বলেন, ‘আন্দোলনের অন্যতম হটস্পট যাত্রাবাড়ী এলাকার সবাই কেন্দ্রীয় এ মিছিলে  যোগ দিতে ইচ্ছুক হওয়ায় আমরা এখানে সব বয়সী ও পেশার মানুষের সমন্বয়ে একটি দল নিয়ে এসেছি।’