ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে জাপান সরকার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে।
সোমবার ঢাকার জাপান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এবং আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো রোববার এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেছেন।
কক্সবাজার জেলা এবং নোয়াখালীর ভাসানচরের প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী এই প্রকল্প থেকে সহায়তা পাবেন।
এই প্রকল্পের আওতায় বাসস্থান ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন, সুরক্ষা, আশ্রয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, এলপিজি বিতরণ, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা হবে।
রাষ্ট্রদূত সাইদা আশা প্রকাশ করে বলেন, জাপান সরকারের সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। এই সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা, সুরক্ষা, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য এই পাঁচটি ক্ষেত্র মৌলিক।
রাষ্ট্রদূত সাইদা বলেন, জাপান রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে এবং আইওএম-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাজ করে যাবে।
আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের অষ্টম বছরে এসে বাংলাদেশে চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের ওপর আলোকপাত ম্লান হয়ে গেছে। যদিও চাহিদা এখনো অপরিসীম।
তিনি বলেন, জাপানের এই সহায়তা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণে আইওএম এবং অংশীদারদের সক্ষমতা বাড়াবে। এটি সুরক্ষা পরিষেবা, জীবিকায় সহায়তা প্রদান, জলবায়ু-সম্পর্কিত দুর্যোগ এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করে শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।
ল্যান্স বোনো বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে আইওএম রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তার ক্ষেত্রে অবিচল রয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা নিধন শুরু হওয়ার পর থেকে জাপান বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করে আসছে। নতুন এই তহবিলসহ আইওএম এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের এনজিওগুলোকে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি জাপান সহযোগিতা দিয়েছে।