বাংলাদেশে মানবাধিকার মিশন স্থাপনে সরকার ও জাতিসংঘের সমঝোতা 

বাসস
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৪:০৭ আপডেট: : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৪:১২

ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)-এর মধ্যে মানবাধিকার মিশন স্থাপন সংক্রান্ত তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এই মিশনের লক্ষ্য হবে দেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়াই হবে মানবাধিকার মিশনের মূল উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পালনে বাংলাদেশকে সহায়তা করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। আর সেজন্য দক্ষতা, আইনগত সহায়তা এবং প্রতিষ্ঠানগত সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে মিশন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে জবাবদিহি ও সংস্কার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক অঙ্গীকার হিসেবেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আমরা জানি, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশে কিছু গোষ্ঠী উদ্বেগ জানিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সংস্কৃতি ও দৃঢ় ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে এই মূল্যবোধগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলে মত দিয়েছেন নাগরিকরাও। 

সেই প্রেক্ষাপটে, ওএইচসিএইচআর-এর মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোর দেবে। বিশেষত পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে। এই মিশন দেশের আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশা করি, মিশন সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রাখবে এবং স্থানীয় অংশীজনদের নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে পুরোপুরি সম্মান জানিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সরকার স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছে, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সার্বভৌম কর্তৃত্ব অনুযায়ী যেকোনো সময় এই চুক্তি থেকে সরে আসতে পারবে বাংলাদেশ। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যদি পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সময় এমন একটি কার্যালয় থাকত, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও প্রকাশ্যে গণহত্যার মত অনেক অপরাধ সঠিকভাবে তদন্ত, নথিভুক্ত ও বিচারের আওতায় আনা যেত।

শেষে বলা হয়, মানবাধিকারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আদর্শে নয়, ন্যায়ের ভিত্তিতে হতে হবে।

বাংলাদেশ সরকার এই অংশীদারিত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। যার মাধ্যমে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী হবে এবং আইনের শাসন ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সক্ষমতা বাড়বে। এটি আমাদের মূল্যবোধ, আইন এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
নাটোর চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু  
তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অফশোর ড্রিলিং ব্যাপক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ট্রাম্পের
বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আজ হাসপাতালে ভর্তি ৪৩৬ জন
ভূমিকম্পে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা, আহতদের পাশে থাকবে বিএনপি : তারেক রহমান
নারী আইপিএল নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
স্টার্ক-স্টোকসের বিধ্বংসী বোলিংয়ের অ্যাশেজের প্রথম দিন ১৯ উইকেট পতন
১০