বাসস
  ০৫ জুন ২০২৩, ১৭:৫৪

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একাডেমিক কার্যক্রমের সম্ভাবনাকে আরো বাড়াতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ৫ জুন ২০২৩ (বাসস) : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেই চলবে না, একাডেমিক কার্যক্রমের সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা। তাই আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে গবেষণাসহ সকল খাতে জোর দিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান ঠিক করে দিবে শিক্ষার মান কেমন হবে। একই সাথে আমাদের গবেষণা বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দিনব্যাপী দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ মন্তব্য করেছেন। এই শিক্ষামেলার আয়োজন করেছে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)।
তিনি বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাদান ও গবেষণায় এগিয়ে রয়েছে তাদেরকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ভেবে দেখতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাখাতে প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। জিডিপির হিসেবে এ হার কম হলেও সামগ্রিক হিসেবে এটি বাড়ছে। এখন গবেষণা ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বেড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে ওঠার পাশাপাশি কর্মজগতে প্রবেশের জন্য নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহবান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। এর সুফল সাত অথবা আট বছর পর পাওয়া যাবে এবং সেজন্য আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করার পর শিক্ষামন্ত্রী মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মেলায় ৬০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা, প্রকাশনা ও উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে।
সকলের জন্য উন্মুক্ত এডুকেশন এক্সপো সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।