পুরান ঢাকার সোহাগ ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে হত্যার শিকার: ডিএমপি

বাসস
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৫

ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে উপর্যুপরি পাথর নিক্ষেপ করে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি মো. রিজওয়ান উদ্দিন অভিকে (৩১) মঙ্গলবার রাতে পটুয়াখালী জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।  

ডিএমপি কমিশনার রাজধানীর পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত নারকীয় উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আশা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ তদন্তে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের বলে জানা গেছে। 

তিনি বলেন, সোহাগ আগের সরকারের আমলে হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের (অ্যালুমিনিয়ামের) ব্যবসা করতেন।

চোরাই তার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তারা বিক্রি করতেন, যেখানে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি-পাতিল-কড়াই তৈরি হয়। গত ১৭ বছর সোহাগ এই কাজ করে এসেছেন। এর মধ্যে আরেকটা গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। তখন তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তারা একই এলাকার এবং পূর্ব পরিচিত। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, উক্ত ঘটনায় চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সারোয়ার ঘটনাস্থল থেকে মাহবুব ও মহিনকে আটক করে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় মোট নয়জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তিনি জানান, এই ঘটনার এজাহার নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতোমধ্যে এজাহারের একটি কপি ছড়িয়ে পড়ে যেটি মূলত মামলার চূড়ান্ত এজাহার দায়েরের পূর্বে ভিকটিমের সাবেক স্ত্রী ও তার সৎভাই প্রস্তুতকৃত এজাহারের খসড়া যাতে ২৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে মামলার বর্তমান বাদিনী ভিকটিমের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় এসে মামলা রুজু করার সময় বাদিনীর মেয়ে উক্ত খসড়া এজাহারের ছবি তুলে রাখে। 

তিনি বলেন, ভিকটিমের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম উক্ত খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন একজনের নাম সংযোজন করে মোট ১৯ জনেকে আসামি করে চূড়ান্ত এজাহার দায়ের করেন এবং এর ভিত্তিতে উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
নারীর মুক্তি ও সমতার জন্য অন্তর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে : মঈন খান
বোয়ালখালীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান
বেগম খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক : মেয়র শাহাদাত হোসেন
বিদেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার চুরি হওয়া সম্পদের সন্ধান মিলেছে : সিএকে এনবিআরের সিআইসি প্রধান
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,৬২৯ জন
দেশ যেন চরমপন্থী ও মৌলবাদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠতে না পারে : তারেক রহমান 
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় নাসির উদ্দীন গ্রেফতার
মাদ্রাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ
বান্দরবানে অজগর উদ্ধার, বনাঞ্চলে অবমুক্ত
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সোমবারের বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হবে, আশাবাদ মার্কিন দূত উইটকফের 
১০