চট্টগ্রাম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ ন ম কামরুল হাসনাত চৌধুরী বলেছেন, পুলিশ প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে পাঠাতে বিচারক সবসময় নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তাই এখন অনেক মামলার পুলিশ প্রতিবেদন সময়মত আদালতে পৌঁছাচ্ছে।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার সমন, ওয়ারেন্ট যথাসময়ে জারি করে মামলার কার্যক্রমকে তরান্বিত করেন। ফলে মামলার দীর্যসূত্রিতা হ্রাস পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার পিপি আ ন ম কামরুল হাসনাত চৌধুরী জানান, মামলার সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্যগ্রহণে বিচারক আন্তরিক হওয়ায় বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি কমেছে। মামলা এমসি দেয়ার ক্ষেত্রে বিচারক কঠোর হওয়ায় হয়রানিমূলক মামলা কমে গেছে। তাই নতুন করে মামলা রুজু করার হারও কমেছে ৪র্থ ট্রাইব্যুনালে।
জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ চট্টগ্রামে মোট মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৪৯ টি। এতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে ১ হাজার ৫০১টি। শিশু মামলা ৪১২টি। বিভিন্ন মামলায় নারী ও শিশু মামলা দুইটি। নারী ও শিশু মামলা নিস্পত্তি হয়েছে চারটি। পিটিশন মামলা হয়েছে সাতটি।
এছাড়া পাঁচ বছরের অধিক বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৫৯টি। হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতকৃত মামলার সংখ্যা ৩৬টি। গত আগষ্ট মাসে এই আদালতে মামলা ছিল ১৪৭৫টি।
এই আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামে পৃথক সাতটি ট্রাইব্যুনাল থাকায় বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি অনেক কমে গেছে। বর্তমানে অনেক মামলার অগ্রগতি তার প্রমাণ।
বিচারপ্রার্থীরা, সাক্ষ্যগ্রহণসহ মামলার অগ্রগতি দেখে ন্যায় বিচার পাবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।