খুলনায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাসস
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৫

খুলনা, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস): একটি এজেন্ট শাখার ৫০ জন গ্রাহকের প্রায় ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনার ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন; ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) মো. সাহাদাৎ হোসেন, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান ফরহাদ মাহমুদ, প্রধান কার্যালয়ের এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আহাম্মেদ আসলাম আল ফেরদৌস, খুলনা এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসের সাবেক রিজিওনাল হেড এ এইচ এম কামরুজ্জামান, সাবেক এরিয়া ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম, এজেন্ট শাখার আউটলেট রিলেশন অফিসার পলি খাতুন, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা ‘মুন মানহা’র মালিক এস এম সোহেল মাহমুদ এবং আড়ংঘাটা বাজার এজেন্ট শাখার টেলার আবদুল হান্নান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি রকেট অ্যান্ড এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস, খুলনার আওতাধীন ‘মুন মানহা’ এজেন্ট শাখায় ৫০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা জমা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। 

মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাসসকে বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর ডাচ বাংলা ব্যাংকের অনুমোদিত এজেন্ট হিসেবে আড়ংঘাটা বাজারে ‘মুন মানহা’ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে শাখাটি বন্ধ হয়ে যায় এবং শাখার এজেন্ট এস এম সোহেল মাহমুদসহ অন্যরা আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে অভিযোগ অনুসন্ধানের সময় দেখা যায়, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, অভিযুক্ত তিনজন ছাড়াও খুলনার রিজিওনাল অফিসের কর্মকর্তাদের তদারকি ও মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। তবুও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে মুন মানহা এজেন্ট শাখার প্রতারিত গরীব গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ডাচবাংলা ব্যাংকের নীতিমালা-২০২২ অনুযায়ী এজেন্টের মাধ্যমে কোনো অনিয়ম, প্রতারণা বা আত্মসাতের ঘটনা ঘটলে গ্রাহকদের জমা অর্থ ফেরত দেওয়া এবং যাবতীয় দায়-দায়িত্ব ব্যাংকের ওপরই বর্তায়। এমনটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক সেই গরীব গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে গড়িমসি করতে থাকে। এজন্য প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জরিমানার কবলে বাবর
ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২০
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
তারেক রহমান এখন মানবতার দূত হিসেবে কাজ করছেন : রিজভী
বরগুনায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় একজন নিহত
ভোলায় বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে বাঁশগাড়া বিদ্যালয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশ
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২০
রিপন-রাকিবুলের বোলিং নৈপুন্যে সেমির দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
১০