
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলীদের বিধিবহির্ভূতভাবে প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, পদায়ন, নিয়মিতকরণ ও পদোন্নতি প্রদানের অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুদক জানায়, ২০১০, ২০১১ ও ২০১৩ সালে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলীদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করে পদোন্নতিসহ পদায়ন প্রদান করা হয়েছে। এলজিইডির নিজস্ব নিয়োগ বিধিমালা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রাসঙ্গিক বিধিও এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি। পরবর্তীতে টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝকঝড়ু হাইস্কুল মোড় থেকে কল্যাণপুর মোড় পর্যন্ত ২৫০০ মিটার রাস্তার সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আরেকটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে টিম সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে। নিরপেক্ষ প্রকৌশলী নির্মাণসামগ্রীর বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহপূর্বক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করেন। এছাড়া টিম নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, এলজিইডি চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
এছাড়া, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব মনিরুল ইসলাম ও অন্যান্যদের যোগসাজশে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে বান্দরবানেন লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় অন্য একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাস্তবায়িত প্রায় ২৭০টি প্রকল্পের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত প্রকল্পসমূহের মধ্য থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প টিম সরেজমিনে পরিদর্শন করে। তবে এলাকা দুর্গম পাহাড়ি হওয়ায় এবং প্রকল্পের সংখ্যা অত্যধিক (প্রায় ২৭০টি) হওয়ায় টিমের পক্ষে সকল প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি। টিম কর্তৃক প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে অভিযান পরিচালনাকারী টিমগুলো কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।