বাসস
  ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৫৬

রংপুর-চট্টগ্রামের লক্ষ্য হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়া

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে নিজেদের সর্বশেষ দুই ম্যাচেই হেরেছে রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হারের বৃত্ত থেকে বের হবার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল বিপিএলের ২১তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে  রংপুর-চট্টগ্রাম।
বিপিএলে ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মুখোমুখি হবে রংপুর ও চট্টগ্রাম।
জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও পরের দিকে খেই হারায় রংপুর। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট তাদের। সাত   দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে রংপুর।
রংপুরের দু’টি জয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। কুমিল্লাকে ৩৪ রানে ও খুলনাকে ৪ উইকেটে হারায় তারা।
ফরচুন বরিশালের কাছে ৬ উইকেটে ও ৬৭ রানে, খুলনার কাছে ৯ উইকেটে হারের স্বাদ পায় রংপুর।
চট্টগ্রামের মাটিতে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং বিভাগে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি রংপুরের ক্রিকেটাররা। খুলনার বিপক্ষে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। প্রথম ব্যাট করে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।  জবাবে ১৩০ রানের টার্গেট সহজেই স্পর্শ করে ফেলে খুলনা।
পরের ম্যাচে বোলারদের ব্যর্থতায় বরিশালের কাছে ম্যাচ হারে রংপুর। অবশ্য ম্যাচের শুরুতে রংপুরকে ভালো অবস্থায় রেখেছিলো বোলাররাই। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বরিশালের ৪৬ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় তারা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ১৯২ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ। সাকিব ৪৩ বল খেলে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে ৪৫ বলে ১০০ রান করেন ইফতেখার। বরিশালের ৪ উইকেটে ২৩৮ রানে জবাবে ৯ উইকেটে ১৭১ রান তুলে ম্যাচ হারে রংপুর।
রংপুরের সমান পয়েন্ট চট্টগ্রামের। তবে ১টি ম্যাচ বেশি খেলেছে তারা। ৬ খেলায় ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে আছে চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের দু’টি জয় খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে। খুলনাকে ৯ উইকেটে ও ঢাকাকে ৮ উইকেটে হারায় তারা। চট্টগ্রাম পর্বে চার ম্যাচ খেলে শুধুমাত্র ঢাকার বিপক্ষেই জয় পায় দলটি।
ঢাকার বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা ছিলো দুই ব্যাটার আফিফ হোসেন ও আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলির। আফিফ-রাসুলির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকার ছুঁড়ে দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেট সহজেই স্পর্শ করে চট্টগ্রাম। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে ম্যাচ সেরা হন আফিফ। মারমুখী মেজাজে থাকা রাসুলি ৩৩ বলে অনবদ্য ৫৬ রান করেন।