শিরোনাম
করাচি, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (বাসস/ক্রিকইনফো) : সাবেক কোচ মিকি আর্থারকে আবারও ফেরানোটা পাকিস্তান ক্রিকেটের উপর ‘চপেটাঘাত’ মনে করছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। এবার আর কোচ নয়, পাকিস্তান ক্রিকেটের ডিরেক্টর হিসেবে ফিরতে পারেন আর্থার।
মিসবাহর অভিযোগ পাকিস্তান ক্রিকেটর সিস্টেমকে নষ্ট করা এবং নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন বোর্ডকে কোচ নিয়োগে দেশের বাইরে নজর দিতে বাধ্য করেছেন সাবেক খেলোয়াড়রা।
২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ ছিলেন আর্থার। আবারও পাকিস্তানের ক্রিকেটের সাথে আর্থারকে যুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে দেশটির বোর্ড। সম্প্রতি ইএসপিএনক্রিকইনফো প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হবার দ্বারপ্রান্তে। পহেলা এপ্রিল থেকে টিম ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করবেন আর্থার।
পাকিস্তানের ডিরেক্টর হলেও, কাউন্টি ক্লাব ডার্বিশায়ারের সাথেও চুক্তিবদ্ধ থাকবেন আর্থার। এটি মেনেও নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বিষয়টি মাথায় রেখেই দু’ পক্ষের চুক্তি এবং সময়সূচী নির্ধারন করা হচ্ছে। ডার্বির সাথে চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সফরে পাকিস্তান দলের সাথে থাকবেন না আর্থার। তার নিয়োগ করা সাপোর্ট স্টাফদের একটি গ্রুপ দিয়ে দল পরিচালনা করবেন তিনি।
এমন সিস্টেম পাকিস্তান ক্রিকেটকে চড় মারার সমান বলে মনে করেন দেশটির সাবেক কোচ মিসবাহ। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে মিসবাহ বলেন, ‘এটা পাকিস্তানের ক্রিকেট সিস্টেমকে চড় মারার সমান। কারণ আমরা একজন ফুল টাইম হাই-প্রোফাইল কোচ খুঁজে বের করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়, সেরাদের কেউ এখানে আসতে চায় না। আমরা এমন একজনকে আনতে চেষ্টা করছি, যে কি-না পাকিস্তানকে দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে দেখছে।’
এমন পরিস্থিতির জন্য দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের দিকে আঙুল তুলেছেন মিসাবহ। তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের সিস্টেমকেই দোষারোপ করছি। এটি এতটাই দুর্বল, যে কেউ এটিকে কাজে লাগাতে পারে। আমরা নিজেরাই নিজেদের দোষারোপ করতে পারি। আমরা নিজেরাই আমাদের মানুষদের অসম্মান করছি ও আমাদের খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান এবং সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই পরস্পরকে সম্মান করে না। রেটিংয়ে জন্য নিজ নিজ ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করছে সাবেক ক্রিকেটাররা। এটা আমাদের ক্রিকেটের বিশ^াসযোগ্যতা ও ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এ তেকে এমন ধারনা সৃস্টি হয় যে, আমরা সক্ষম নই।’
মিসবাহ বলেন, ‘ক্রিকেট এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এটি কখনই সঠিক শিরোনামে আসে না। কারন সাবেক ক্রিকেটাররা জাতীয় চ্যানেলে ক্রিকেটারদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে, যা ভক্তদের ভুল ধারনা দেয়। এখানে কোন সম্মান নেই, সহানুভূতি নেই ও কোন অনুকূল পরিবেশও নেই।’