শিরোনাম
মাদ্রিদ, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গেতাফের সাথে শনিবার ১-১ গোলে ড্র করে লা লিগা টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকা এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ঘরের মাঠ এস্তাদিও সিবিটাস মেট্রোপলিটানোর ডার্বি ম্যাচটিতে এ্যাঞ্জেল কোরেয়ার গোলে এ্যাথলেটিকো এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এনেস উনালের স্পট কিক থেকে গোলে রেলিগেশন খরায় থাকা গেতাফে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট অর্জণ করে। গত সপ্তাহে এ্যাথলেটিকোর হয়ে বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে দুর্দান্ত খেলে ওসাসুনার বিরুদ্ধে জয়সূচক গোল করা সাউল কাল মেট্রোপলিটানোতে ভিলেনে পরিনত হয়েছেন। বোয়া মায়োরালের হেড ডি বক্সের ভিতর স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টি উপহার পায় গেতাফে।
ম্যাচ শেষে এ্যাথলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে বলেছেন, ‘দারুন প্রচেষ্টার পর আমরা এগিয়ে গিয়েছিলাম। সবদিক থেকেই আমরা আজ জয়ের চেষ্টা করেছি। যেমন খেলতে চেয়েছি ঠিক তেমন ম্যাচই আমরা খেলেছি। কিন্তু পরিস্থিতি প্রত্যাশা মাফিক হয়নি। আমরা দ্বিতীয় গোল পাইনি। ফুটবলে এ ধরনের পেনাল্টি হতে পারেই, বিষয়টা ততটা বিপদজনক ছিল না। কিন্তু আমাদের উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
পুরো প্রথমার্ধ জুড়ইে সিমিওনের দলের আধিপত্য ছিল, কিন্তু স্পষ্ট কোন সুযোগ তৈরী করতে তারা ব্যর্থ হয়। ৬০ মিনিটে থমাস লেমারের শট সেভ হবার পর ফিরতি বলে কোরেয়া এ্যাথলেটিকোকে এগিয়ে দেন। গোলটি প্রথমে অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ভিএআর পরীক্ষা করে এ্যাথলেটিকোকে গোল উপহার দেয়া হয়। ঐ সময়ের মধ্যে কোরেয়াকে বদলী বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাইডলাইনে গিয়ে নিজের গোল উদযাপন করেছে কোরেয়া। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘গোলটি নিয়ে শুরুতে দ্বিধা ছিল। প্রথমে সেটা অফসাইড দেয়া হয়, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোন সন্দেহ ছিলনা। এরপর বদলী বেঞ্চে চলে যাবার পর গোলটি আবারো সঠিক বলে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। বিষয়টা কিছুটা হলেও অদ্ভূত মনে হয়েছে।’
প্রথমার্ধে আলভারো মোরাতাকে ডি বক্সের ভিতর ডিফেন্ডার ডিনে ডাকোনাম ফাউল করলে এ্যাথলেটিকোকে অবশ্যই পেনাল্টি দেয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করেন কোরেয়া। একইসাথে ঐ ঘটনায় ডাকোনামকে অবশ্যই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন কোরেয়া।
এ্যাথলেটিকোর গোল উৎসব খুব বেশীক্ষন স্থায়ী হয়নি। সাউলের হ্যান্ডবলে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে ৮৩ মিনিটে উনাল গেতাফেকে সমতায় ফেরান। ম্যাচের শেষ ভাগে ইয়ানিক কারাসকোর পোস্টের সামান্য পাশ দিয়ে বাইরে চলে গেলে এ্যাথলেটিকোর জয় পাওয়া হয়নি। বেলজিয়াম এই উইঙ্গারের আরো একটি শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। বদলী হিসেবে মাঠে নামা স্ট্রাইকার মেমফিস ডিপে ডেনের বিপক্ষে পেনাল্টির জোড়ালো আবেদন করেও সফল হননি। রেফারি মাতেও লাহোজ তা এড়িয়ে যান। ডাচ এই ফরোয়ার্ডের একটি শট দারুনভাবে রুখে দিয়ে গেতাফেকে রক্ষা করেছেন গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া।
এই ড্রয়ে এ্যাথলেটিকো চতুর্থ স্থানেই থাকলো। কিন্তু তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদের সাথে চার পয়েন্টের ব্যবধান কমাতে পারলো না। অন্যদিকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশনে থাকা গেতাফে রয়েছে ১৯তম স্থানে। সেফটি জোন থেকে তারা দুই পয়েন্ট দুরে রয়েছে।
ভিয়ারিয়ালকে ৩-১ গোলে পরাজয়ের মাধ্যমে ২০ ম্যাচ পর মৌসুমের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে তলানির দল এলচে। ম্যানুয়েল মার্টিনেজ ভালেরো স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ এ্যাটাকার পেরে মিলার হ্যাটট্রিকে এলচের জয় নিশ্চিত হয়। ভিয়ারিয়াল অবশ্য পরাজয় সত্বেও এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানটি ধরে রেখেছে।
মৌসুমের প্রথম ভাগে এলচে কোন জয় নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০তম ম্যাচে এসে তারা তিন পয়েন্ট সংগ্রহ কররো। ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই মিলা স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। ২২ মিনিটে জেরার্ড মোরেনো ভিয়ারিয়ালের পক্ষে সমতা ফেরান। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে স্পক কিক থেকে মিলা আবারো এলচেকে এগিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে আবারো পেনাল্টি থেকে মিলা হ্যাটট্রিক পূরনের পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৫৮ মিনিটে ইনজুরির কারনে তিনি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
সেফটি জোন থেকে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা এলচের এ পর্যন্ত ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।
ভিয়ারিয়ারের পরাজয়ের দিনে ষষ্ঠ স্থানে থাকা রিয়াল বেটিস নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। সেল্টা বিগোর কাছে তারা ঘরের মাঠে ৪-৩ গোলে পরাজিত হয়েছে। এই জয়ে টেবিলের ১১তম স্থানে উঠে এসেছে সেল্টা।