বাসস
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:২৯

সানচোর গোলে লিডসের কাছে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ইউনাইটেড

লন্ডন, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : জেডোন সানচোর গোলে লিডসের সাথে প্রিমিয়ার লিগে ২-২ গোলে ড্র করে কোনমতে রক্ষা পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেপ্টেম্বরের পর এটাই সানচোর ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোল। ম্যানেজার বিহীন লিডস দুই গোলে এগিয়ে থেকেও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে ব্যর্থ হয়েছে। 
ফিটনেস ইস্যুতে মৌসুমের প্রায় বেশীরভাগ সময়ই সাইডলাইনে ছিলেন সানচো। কিন্তু কাল বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে ইউনাইটেডকে স্বস্তির জয় উপহার দেন। ঘরের মাঠে এনিয়ে টানা ১৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো ইউনাইটেড। টানা সাত লিগ ম্যাচ জয়বিহীন থাকার কারনে সোমবার কোচ জেসি মার্শকে বরখাস্ত করে লিডস। অস্থায়ী ম্যানেজার হিসেবে কাল দায়িত্ব পালন করেণে মাইকেল স্কুবালা। ইউনাইটেড সফরে তিনি মাত্র ২০ মিনিটের একটি অনুশীলন সেশন হাতে পেয়েছেন। ২০১০ সালের পর ইউনাইটেডের মাঠে প্রথমবারের মত জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল লিডস। 
ম্যাচ শুরুর এক মিনিটের মধ্যে উইলফ্রিড জিনোটোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী লিডস। রাফায়েল ভারানের আত্মঘাতির গোলে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। মার্কোশ রাশফোর্ড মৌসুমের ২০তম গোল করে ইউনাইটেডকে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেন। ৭০ মিনিটে সানচোর গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। 
এই এক পয়েন্টে ইউনাইটেড তৃতীয় স্থানেই থাকলো, যদিও টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে এখনো সাত পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। তবে এই ড্র লিডসের জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ হেয় উঠেছে। রেলিগেশন জোন থেকে এখন তারা এক পয়েন্ট উপরে রয়েছে। 
ধুকতে থাকা লিডসের হয়ে জিনোটো বরাবরই ভাল খেলে এসেছেন। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে ইতালিয়ান ১৯ বছর বয়সী এই এ্যাটাকার লিডসকে এগিয়ে দেন। সাত ম্যাচে এটি তার চতুর্থ গোল। ইউনাইটে কাল মধ্যমাঠে নিষেধাজ্ঞায় থাকা ক্যাসেমিরোকে দারুনভাবে মিস করেছে। লিডসের সবগুলো কাউন্টার এ্যাটাকই ইউনাইটেডেওে দূর্বল মধ্যমাঠের কারনে সংঘটিত হয়েছে। ১২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ হাতছাড়া করেন পাসকাল স্ট্রুইক। ডাচ এই ডিফেন্ডারের দূর পাল্লার শট রুখে দেন ডেভিড ডি গিয়া। কিন্তু ৮ মিনিটে লুইস সিনিসটেরার ইনজুরি ও স্ট্রুইকের মাঠত্যাগে লিডসের ছন্দপতন হয়। আলেহান্দ্রো গারানচোর শট অল্পের জন্য ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরাতে পারেনি। 
বিরতির পর ব্যবধান বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠে লিডস। তাদেরকে সামলাতে গিয়ে বেশ কয়েকবারই হিমশিম খেতে হয়েছে ইউনাইটেডের রক্ষনভাগকে। লিডসের দ্বিতীয় গোলেও অবদান ছিল জিনোটোর। তার এগিয়ে দেয়া পাসে ক্রিসেনসিও সামারভিলের ক্রসে রাফায়েল ভারানের আত্মঘাতি গোলে পরিনত হলে ব্যবধান দ্বিগুন হয় লিডসের। এরিক টেন হাগ ম্যাচে ফেরার লক্ষ্যে তার বদলী বেঞ্চকে কাজে লাগান। অনেকটাই নিষ্প্রভ ওট ওয়েগার্স্ট ও গারানচোর স্থানে তিনি মাঠে নামান সানচো ও ফুকান্ডো পেলিস্ট্রিকে। ওয়েগার্স্ট চলে যাওয়া মধ্যমাঠে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে রাশফোর্ডকে। দিয়োগো ডালটের ক্রস থেকে রাশফোর্ডই ইউনাইটেডে হয়ে ৬২ মিনিটে প্রথম গোলটি দিয়েছেন। বিশ^কাপের পর ১৪ ম্যাচে এটি তার ১২তম গোল। ব্রেন্ডেন এ্যারনসনের ফ্রি-কিক থেকে অল্পের জন্য ইউনাইটেডের ব্যবধান ৩-১’এ নিতে পারেনি। ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে লিডসের সব আশা শেষ হয়ে যায়। সানচোর গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। লুক শ’র ডিফ্লেকটেড ক্রস থেকে লো স্ট্রাইকে সানচো ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান। সানচো সময়মত দলে ফিরে আসাটা ইউনাইটেডের জন্য অনেক বড় স্বস্তির। এখনো ইউনাইটেড চারটি প্রতিযোগিতায় নিজেদের ভালভাবেই টিকিয়ে রেখেছে।