শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নিজ নিজ ম্যাচ চলাকালীন আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে খুলনা টাইগার্সের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এবং অন্য তিন খেলোয়াড়কে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তিন খেলোয়াড় রংপুর রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার মাহেদি হাসান ও নিকোলাস পুরান এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন শাস্তির মুখে পড়েছেন।
১০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন আচরণ বিধির লেভেল-১এ খেলার স্পিরিট ভঙ্গের জন্য ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে মাহমুদকে। ড্রেসিংরুমে ধূমপান করতে দেখা যায় মাহমুদকে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জরিমানা ছাড়াও মাহমুদকে দু’টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে। মাহমুদের বিপক্ষে অভিযোগ আনেন মাঠের আম্পায়ার আলী আরমান রাজন ও রবীন্দ্র উইমালাসারি, তৃতীয় আম্পায়ার মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ও চতুর্থ অফিসিয়াল মাহফুজুর রহমান লিটু। ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের দেয়া শাস্তি মাহমুদ মেনে নেয়ায় কোন আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
মিরপুরের ভেন্যুতে ১২ ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে ক্রিকেট সরঞ্জাম অপব্যবহারে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে রংপুরের মাহেদিকে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার সাথে ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত হয়েছে মাহেদির।
ঐ ম্যাচেই বিসিবির জার্সি পরার নিয়ম ভঙ্গ করেছেন পুরান। এজন্য ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা ও দু’টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে পুরানের।
এই দু’জনের বিপক্ষে অভিযোগ আনেন অনফিল্ড আম্পায়ার প্রগীত রামবুকভেলা, আলি আরমান রাজন, তৃতীয় আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এবং চতুর্থ আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে খেলোয়াড়রা এবং ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদের দেয়া শাস্তি মেনে নেন তারা।
১২ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে লোগোর নির্দেশিকা ভঙ্গের জন্য ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা ও শাস্তিমূলক রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে মোসাদ্দেককে।
মোসাদ্দেকের বিপক্ষে অভিযোগ আনেন অনফিল্ড আম্পায়ার ডেভিড মিলনস, রবীন্দ্র ভিমালাসিরি, তৃতীয় আম্পায়ার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদ স্বপন। ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদের দেওয়া শাস্তি মোসাদ্দেক মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।