বাসস
  ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৪৪

ব্যস্ত সূচীর সমালোচনায় ল্যাম্পার্ড

লন্ডন, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : ধুকতে থাকা দলটির সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত সূচী বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে সমালোচনা করেছেন চেলসি কোচ ফ্রাংক ল্যাম্পার্ড। 
গত সপ্তাহে কোচের পদ থেকে গ্রাহাম পটারকে সড়িয়ে ল্যাম্পার্ডকে দ্বিতীয় মেয়াদে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত নিয়োগ দেয় ব্লুজরা। কিন্তু ১১ দিনের ব্যবধান ব্যস্ত সুচীতে চারটি ম্যাচ খেলতে বাধ্য হওয়ায় অনুশীলনের সময় একেবারেই সীমিত হয়ে গেছে বলে ৪৪ বছর বয়সী ল্যাম্পার্ড সমালোচনা করেছেন। শনিবার উল্ফসের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়ের একদিন আগে ল্যাম্পার্ড পুরো দল নিয়ে প্রথমবার অনুশীলনে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপরই মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদে কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয় চেলসি। 
সব মিলিয়ে শেষ চার ম্যাচে একটি গোলও করতে পারেনি চেলসি। ১৯৯৩ সালের পর পশ্চিম লন্ডনের দলটির মৌসুমে এত লম্বা সময় গোলবিহীন থাকতে হয়নি। আর এটাকে অনেক বড় একটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ল্যাম্পার্ড। একমাত্র পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পেলেও এই ধরনের সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন ল্যাম্পার্ড। এ সমম্পর্কে চেলসি বস বলেছেন, ‘এখানে আসার আগে থেকে আমি সমস্যা বুঝতে পেরেছিলাম। অবশ্যই এটা আমার চাকরি এবং আমার কাজই হচ্ছে সমস্যা সমাধান করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসের বিষয়টি আমি আগেও অনেকবার বলার চেষ্টা করেছি। বাস্তবতা হচ্ছে অনুশীলনের সুযোগ না পেলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে আমাদের আক্রমনাত্মক খেলার বিকল্প নেই। কিন্তু অনুশীলনের মাধ্যমে সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ব্যস্ত সূচীতে অনুশীলনের পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাচ্ছেনা। ছয় দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হলে শারিরীক ভাবে খেলোয়াড়দের ব্যবহার করাটা সম্ভব নয়। এটা একরাতে সম্ভব নয়। চেলসিতে একসাথে খেলার অর্থ কি, নতুন খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।’
পটারের অধীনে প্রায় বেশীরভাগ ম্যাচেই সাইডলাইনে বসে থাকা পিয়েরে এমেরিক-অবামেয়াংকে দিয়ে চেলসি গোলখরা কাটানোর সমাধান খুঁজে বের করতে পারে। ল্যাম্পার্ড বলেন, ‘অবশ্যই ইতিহাস প্রমান দেয় তার গোল করার দক্ষতা কতটা চমৎকার। সে স্কোয়াডে আছে। এখানে মূল একাদশ নাকি বদলী বেঞ্চে সে আছে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
এদিকে ল্যাম্পার্ড নিশ্চিত করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ইনজুরিতে পড়া সেনেগালিজ সেন্টার-ব্যাক কালিডু কুলিবালি কয়েক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন।