ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের পণ্যের ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত এইচএস কোড ও কায়িক পরীক্ষায় কাস্টমস কর্তৃক নিরূপিত এইচএস কোডের মধ্যে ভিন্নতা থাকায় পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। এ কারণে যথাসময়ে পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী জাহাজীকরণ ব্যাহত হচ্ছিল।
রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে এ ধরনের জটিলতা নিরসনে আজ (মঙ্গলবার) একটি নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
নির্দেশনা অনুসারে, বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্যের বর্ণনা ও এইচএস কোড অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন এইচএস কোড বা ভিন্ন পণ্যের বর্ণনা নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত এইচএস কোডের প্রথম চার ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত এইচএস কোডের প্রথম চার ডিজিটের সঙ্গে মিলে গেলে, উক্ত কোড অথবা পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত করার অঙ্গীকারনামা দাখিলের শর্তে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস থেকে দ্রুত পণ্যচালান খালাস করা যাবে।
এছাড়া, বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্যের বর্ণনা ও এইচএস কোড অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন এইচএস কোড নিরূপণ করলে, বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিবিএমএস)-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্যতায় উক্ত এইচএস কোড অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ দুই দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে পারবে।
এনবিআর মনে করে, নির্দেশনাটি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে বন্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে। ফলে দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।