ঢাকা, ২১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ব্যাংকিং খাতে শক্তিশালী মডেল তৈরি, নির্ভরযোগ্য ডেটা ব্যবহারের নিশ্চয়তা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অর্থ বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিবেদন মান (আইএফইরএস) ৯ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন জোরদার ও ডেটা অবকাঠামোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো শুধু সম্মতি নিশ্চিত করতে পারে না বরং তাদের আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতাও সুদৃঢ় করতে পারবে।
আজ ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত ‘ইমপ্লিমেন্টিং আইএফইরএস ৯: গ্লোবাল ইনসাইটস অ্যান্ড বাংলাদেশ পারসপেক্টিভস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনারে সেশন চেয়ারম্যান হিসেবে সভাপতিত্ব করেন আইসিএবির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আলোচনায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে আসে পর্যাপ্ত বাস্তবভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি।
বক্তারা বলেন, যদিও ডিফল্ট সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়, তবে ঋণ পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত তথ্য খুবই সীমিত। যা মডেলের নির্ভুলতা কমায় এবং আইএফইরএস ৯ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভবিষ্যৎমুখী তথ্য সংযোজন। অনেক ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ঐতিহাসিক তথ্য নেই, ফলে তারা নির্ভরযোগ্য প্রোবাবিলিটি-ওয়েটেড অনুমান বা আলাদা পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে পারে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-গভর্নর ড. মো. কবির আহমেদ বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য আইএফইরএস ৯ বাস্তবায়ন একটি ‘পরিকল্পিত পরিবর্তনের সূচনা’।
আইসিএবি সভাপতি এন. কে. এ. মোবিন বলেন, ‘আইএফইরএস গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুধুমাত্র একটি কারিগরি মানদণ্ড নয়, এটি স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা জোরদার এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির একটি প্রধান ভিত্তি।’