অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৭:৪৯ আপডেট: : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৮
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

// আমিনুল ইসলাম // 

ঢাকা, ৪ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ  বলেছেন, অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিল্পকারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বাসস-এর সিনিয়র রিপোর্টার মো. আমিনুল ইসলামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থ উপদেষ্টা একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করছি। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে কীভাবে সহায়তা দেয়া যায় তার চেষ্টা করেছি। কারণ এ খাত স্থানীয়ভাবে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। এখানে কিছু অর্থায়নের সমস্যা ছিল। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলে দিয়েছি তারা যেন সিএসএমইদের ঋণ দেয়। জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্ব কম নয়। এছাড়া স্থানীয় কর্মস্থান সৃষ্টির জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অনেক  ছোট ছোট প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যেমন- লোকাল ইনফ্রাস্টাকচার, ব্রিজ কালভার্ট ও লোকাল ইনভার্মেন্টাল প্রজেক্ট, যা কর্মস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।

অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, অর্থনীতি মোটামুটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। একটু গতি সঞ্চার হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টর ওয়েট এন্ড সি করছে। তবে একেবারেই থমকে দাঁড়ায়নি। তারা আরো সাপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে অর্থায়নের বিষয়টি । আ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স, ট্যাক্সগুলোকে আরো সিম্পলিফাই। এলসি খোলার ব্যাপারে ইম্পোর্ট আ্যালাউ করছি। মেশিনারি আমদানি হচ্ছে। তবে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি এখনো কিছুটা নিয়ন্ত্রিত আছে। আমাদের অর্থনীতিতে মোটামুটি গতি এসেছে। তবে চট করে কিছু হবে না। কারণ এখানে রাজনৈতিক অনেক ইনফ্লুয়েন্স ছিল। এগুলো কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।

এছাড়া অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ  নেওয়া শুরু হয়েছে। বড় বড় কোম্পানি অর্থ পাচারের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজ করছে। মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে টাস্কফোর্স কাজ করছে। ওরা বিভিন্নভাবে তথ্য জোগাড় করছে। সেগুলো চিহ্নিত করতে সময় লাগবে। কারণ ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম একটি টেকনিক্যাল বিষয়। সিঙ্গাপুর বা আর কোথায় কোথায় অর্থ পাচার হয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। অর্থ উদ্ধারে লিগাল প্রসিউডর মেনে না গেলে, বাইরের সার্পোট পাওয়া যাবে না। আমাদের টেকনিক্যাল বিষয়ে সহায়তা করার জন্য ব্রিটিশ একটি কোম্পানি এসেছে। অন্যরাও সহায়তা করার জন্য অফার করেছে। 

অর্থ পাচার রোধে সিঙ্গাপুর বা আর কোথায় আছে সেগুলো টেকনিক্যাল, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অনেকটা টেকনিক্যাল । আমরা টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এগুলো খুব সেনসেটিভ। তারা বিষয়গুলো জেনে গেলে তো তারা টাকাটা দেবে না। মানিলন্ডারিংয়ের আওতায় মূলত আজিজ খান, সামিট গ্রুপ, এস আলম, বসুন্ধরা গ্রুপ  ও সালমান এফ রহমানসহ ১১ /১২ টি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে : রিজভী
জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন : প্রেস উইং
মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত একই পরিবারের ৪ জন
নড়াইলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
একাত্তর ও জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে : ওয়ার্কার্স পার্টি
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ দক্ষিণখানে
৯৭২২ দিনের অপেক্ষার অবসান দক্ষিণ আফ্রিকার
সাহিত্যিক আব্দুল মোমেনের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক
আগামীকাল উদীচীর বর্ষা উৎসব
সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
১০