ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)’র ২০১৯ সালের এক প্রেস রিলিজ থেকে সম্প্রতি বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও অপপ্রচার শনাক্ত করেছে বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, আইসিসি ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছে দাবি করা একটি ভিডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, ভিডিওটি আসলে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বরের একটি ঘটনার। সেদিন আইসিসির বিচারকরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসির এখতিয়ারভুক্ত অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য প্রসিকিউটরকে অনুমতি দেন। সেই বিবৃতিরই একটি দৃশ্য এটি।
বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির কয়েকটি কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে আইসিসির ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একই দৃশ্য মেলে। ভিডিওটির ১ মিনিট ২১ সেকেন্ড থেকে ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশের সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যায়। ওই ভিডিওর শিরোনাম থেকে জানা যায়, সেদিন বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসি তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেয়।
পরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে আইসিসির ওয়েবসাইটে ওই দিনের প্রেস রিলিজ পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়, প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-৩ যার সদস্য ছিলেন সভাপতি বিচারক ওলগা হেরেরা কারবুচিয়া, বিচারক রবার্ট ফ্রেমর ও বিচারক জিওফ্রি হেন্ডারসন। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে তদন্ত শুরুর অনুমতি দেন।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, আইসিসির ওয়েবসাইটে খোঁজ করে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ইন্টারনেটে ছড়ানো বিষয়টি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম ‘বাংলাফ্যাক্ট’। দেশে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণকে সঠিক তথ্য দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।