সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে তিনটিতে করার দাবি তরুণ চিকিৎসকদের

বাসস
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ২০:১৭
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এবং প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১০ মে, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে তিনটিতে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে তরুণ চিকিৎসকরা।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এবং প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়. বাংলাদেশে সিগারেট অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য। বাংলাদেশের সিগারেট কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল, যা সিগারেটের ব্যবহার কমাতে যথেষ্ট কার্যকর নয়। বর্তমানে আমাদের দেশে চারটি (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) মূল্যস্তর থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না।  বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দামের পার্থক্য খুব সামান্য হওয়ায় ভোক্তারা সহজেই এক স্তর থেকে অন্য স্তরে যেতে পারছে। তাই নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ানো হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের ফারজানা রহমান মুন বলেন, আমাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তামাক পণ্যের বিদ্যমান কর ব্যবস্থার সংস্কার করা হলে প্রায় ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবেন। পাশাপাশি প্রায় ৯ লাখ তরুণসহ প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, তামাকজাত পণ্যে সরকারের যে রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত রোগে স্বাস্থ্য ব্যয়ের মাত্র ৭৫ শতাংশ মেটাতে পারে। কার্যকর করারোপের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বিগত অর্থবছরের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এই প্রতিরোধ্যযোগ্য মৃত্যু প্রতিরোধে তামাকের ব্যবহার হ্রাস করা প্রয়োজন। এজন্য তামাকপণ্যের ওপর কার্যকর করারোপ করে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নেওয়া জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে জয়ীতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. নাইমুল আজম খান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রাশেদ রাব্বি, প্রজ্ঞা’র হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন পরবর্তী কর্মদিবসে : আইন উপদেষ্টা
রুয়েটে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে নজর দিচ্ছে নেপাল : রাষ্ট্রদূত
মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গিত এক অনন্য দিবস ‘মা দিবস’: তারেক রহমান
৮ লাখ টাকার জাল নোটসহ দুজন গ্রেফতার
সিলেটে কোরবানিযোগ্য পশু তিন লাখ ৯ হাজার
সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
সীমান্তে বসবাসকারীদের সচেতনতা ও সতর্কতা বৃদ্ধিতে ঝিনাইদহে বিজিবির মতবিনিময়
১০