রাজশাহী, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। সভাপতির বক্তব্যে তিনি জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় জানানো হয়, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ কর্মসূচি পালিত হবে। জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগরীতে আগামী ১২ অক্টোবর হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১ নভেম্বর হতে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২৭৮ টি কেন্দ্র ও কমিউনিটি পর্যায়ে ২৪০ টি ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১২৭জন শিশুকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সের সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। এ টিকা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য (১৭ ডিজিট) দিয়ে (ww w.vaxepi.gov.bd) ওয়েব সাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
সভায় বক্তারা রাজশাহীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত সকল ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্হিভূত কমিউনিটির ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সের সকল শিশুকে এ টিকা প্রদান নিশ্চিত করতে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. হাবিবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ, প্রাথমিক শিক্ষা রাজশাহীর উপ-পরিচালক মো. সানাউল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়কারী ড. মো. কামরুজ্জামান, ইউনিসেফের জাতীয় ইপিআই স্পেশালিস্ট ডা. রেজাউর রহমান মিল্টন প্রমুখ।সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন, রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।