বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:২৩
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৩০

হাজার হাজার আর্মেনিয় শরণার্থী কারাবাখ ছেড়েছে

গোরিস (আর্মেনিয়া), ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : নাগরনো-কারাবাখ থেকে হাজার হাজার লোক পালিয়েছে। স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, একটি জ¦ালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হয়েছে।
আজারবাইজান গত সপ্তাহে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের বিরুদ্ধে দ্রুত হামলা শুরু করার পরে, আর্মেনিয়ান সরকার দেশটির সম্ভাব্য ‘জোতিগত নির্মূল’ সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করে। খবর এএফপি’র।
আর্মেনিয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, রোববার প্রথম বিচ্ছিন্নতাবাদী দলটি দেশে ঢুকার পর থেকে ১৩ হাজারেরও বেশি শরণার্থী পালিয়ে গেছে। অধিকাংশ শরণার্থী এ শহরেই অবস্থান করার ফলে সীমান্ত শহর গোরিসে প্রচন্ড চাপ তৈরি হয়েছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছে, সোমবার জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণস্থলে ১৩ টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং আহত অবস্থায় আরও সাত জনের মুত্যু হয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ২৯০ জনকে হাসপাতালে ভীর্ত করা হয়েছে এবর এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছে গত সপ্তাহের সংঘর্ষে ২ শ’ হন নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আজারবাইজান সীমান্তের অন্তর্গত সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগত আর্মেনিয়ান ছিটমহল নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান গত তিন দশকে দুটি যুদ্ধ বেধেছে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য আজারবাইজানের ১৯ সেপ্টেম্বরের অভিযান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরের দিন সম্মত যুদ্ধবিরতির শর্তঅনুসারে অস্ত্র সমর্পণ করতে বাধ্য করে এবং বাকুর এই অঞ্চলে নয় মাসের অবরোধের পরে মূল সরবরাহের ঘাটতি সৃষ্টি করে।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আজারবাইজান নাগরনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান শুরু করে এবং তারা দাবি করেছে জঙ্গিদের উৎখাত করতে এই সিদ্ধান্ত। একদিনের মধ্যে তারা এলাকার দখল নেয়। বিদ্রোহীরা এ সময়ে আত্মসমর্পণ করে।
আর্মেনিয়া দাবি করেছে, আর্মেনিয়ার মানুষের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের দলকে নাগরনো-কারাবাখে মোতায়েন করতে হবে।