বাসস
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৯

ইরাকে থাকা বিদেশী সৈন্যদের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা শুরু

বাগদাদ, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): ইরাকে থাকা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনাদের ভবিষ্যত নিয়ে শনিবার প্রথমবারের মতো দেশ দু’টি আলোচনা শুরু করেছে।
ইরাক সরকার আশা করছে, এ আলোচনার মাধ্যমে বিদেশি সেনার উপস্থিতি কমানোর জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বিরোধী আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সেনা মোতায়েন করা হয়। ওই বছর জঙ্গিগোষ্ঠীটি ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছিল। বর্তমানে ইরাকে মোটামুটি আড়াই হাজার বিদেশি সেনা রয়েছে।
তবে গত বছরের অক্টোবরের প্রথমদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, ইরানের সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী এসব হামলা চালাচ্ছে। এর জেরে পাল্টা হামলাও চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রেক্ষিতে বাগদাদ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরাকি ভূখন্ডে ‘আগ্রাসন’ চালানোর অভিযোগ আনে।
এছাড়া ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শিয়া আল-সুদানি এরই মধ্যে বিদেশি সেনাদের তাঁর দেশে ছেড়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয় থেকে বৈঠকের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। এতে তার সাথে ইরাকি সশস্ত্র বাহিনী ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।
কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জোট বাহিনীর ভবিষ্যত নিয়ে আজ থেকে বাগদাদে যৌথ কমিশন কাজ শুরু করেছে।  
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবারের বৈঠকটি ছিল ইরাকে জোট বাহিনীর অগ্রগতির পর্যালোচনা এবং দেশটিতে জোট বাহিনীর উপস্থিতির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া।