বাসস
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৬

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থার বিকল্প কিছু হতে পারে না

জাতিসংঘ,যুক্তরাষ্ট্র, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক): জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী
সংস্থার(ইউএনআরডব্লিওএ) বিকল্প কিছু হতে পারে না। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন।
যদিও সংস্থাটির বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি নতুন অভিযোগ এনেছে তেল আবিব।
এসব অভিযোগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানী ও জাপানসহ কয়েকটি দাতা দেশ এ সংস্থায় সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়, ইউনিসেফ, বিশ^ খাদ্য কর্মসূচিসহ জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানবিক সমন্বয় ফোরামের প্রধানগণ সতর্ক করে বলেছেন, অর্থায়ন স্থগিতের কারনে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হবে।
এদিকে ইউএনআরডব্লিওএ তার অবকাঠামো হামাসকে সামরিক কর্মকান্ডে ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে ইসরায়েলের নতুন অভিযোগের কারনে সংস্থাটি নিয়ে বিতর্ক তীব্র রূপ ধারন করেছে।
এ প্রেক্ষিতে গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগ বলেছেন, এমন কোন সংস্থা নেই যা ইউএনআরডব্লিওএ’র সক্ষমতার বিকল্প হতে পারে। গাজার জনগণ সম্পর্কে সংস্থাটির যে জ্ঞান ও সক্ষমতা তা অন্য কারো নেই।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থার প্রধান দাতাদেশ গুলোর সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থার(ইউএনআরডব্লিওএ) ১২ কর্মীর বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর হামাসের চালানো হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার পর মঙ্গলবার তিনি এ বৈঠক করছেন।
এছাড়া গুতেরেস ইতোমধ্যে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ডের সাথে বৈঠক করেছেন।
ইউএনআরডব্লিওএ বলেছে, অভিযোগের বিষয়ে তারা দ্রুতই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তহবিল স্থগিতে সমস্যায় পড়বে সাধারণ ফিলিস্তিনী জনগণ।
উল্লেখ্য, গত ৭ ই অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে।
গাজায় ইসরায়েলী হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৬ হাজার ৭৫১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।